চন্দ্রযান ২: চাঁদে এবার শীত আসন্ন, 'বিক্রম' স্বপ্ন কি অধরাই থাকবে! মেঘ ঘনাচ্ছে ইসরো-তে
চাঁদের মাটিতে ধীরে ধীরে সূর্যের আলো কমে গিয়েছে। কারণ, কক্ষপথ আর মহাকাশের গাণিতিক নিয়মে সূর্য এখন চাঁদে 'অস্তমিত'। আর তার ফলেই, ঘন অন্ধকারে ছেয়ে গিয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠ।
চাঁদের মাটিতে ধীরে ধীরে সূর্যের আলো কমে গিয়েছে। কারণ, কক্ষপথ আর মহাকাশের গাণিতিক নিয়মে সূর্য এখন চাঁদে 'অস্তমিত'। আর তার ফলেই, ঘন অন্ধকারে ছেয়ে গিয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠ। আর সেখানে পড়ে রয়েছে ভারতের চন্দ্রযান ২ -এর ল্যান্ডার বিক্রম। বিক্রমের পরিস্থিতি এখন কী? বিক্রম কি আদৌ আর কোনও দিনও সাড়া দিতে পারবে? আর কী কোনও আশা রয়েছে ভারতের স্বপ্নের 'বিক্রম ল্যান্ডার' ঘিরে? এই সমস্ত প্রশ্ন নিয়ে এবার উঠে আসছে কিছু উত্তর।
বিক্রমের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি কী ?
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র ইসরো এই মুহূর্তে খুঁজে চলেছে দেশের স্বপ্নের চন্দ্রাভিযানের নায়ক 'ল্যান্ডার বিক্রম' কে। ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যরাতে বিক্রম যখন চাঁদ থেকে ২.১ কিলোমিটার দূরে তখনই ইসরো-র সঙ্গে শেষ যোগাযোগ হয় বিক্রমের। এরপর খেকে নিস্তেজ বিক্রম।
কেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, তা নিয়ে শুরু গবেষণা
ইতিমধ্যেই জাতীয় স্তরে এক উচ্চপর্যায়ে গবেষকদের দল তৈরি করে চন্দ্রযান ২ এর বিক্রম নিয়ে শুরু হয়েছে গবেষণা। কেন বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না? এই প্রশ্নের উত্তর পেলেই কেল্লা ফতে! এই বিশেষজ্ঞ দলে রয়েছেন দেশের নামী দামী শিক্ষাবিদরা। এদিকে, ইসরো ও মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানকেন্দ্র নাসা-র তরফে বহু চেষ্টার পরও বিক্রমের খোঁজ মিলছে না।
চাঁদে কী ঘটতে চলেছে?
আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে চাঁদের দক্ষিণ প্রান্ত, যেখানে বিক্রম রয়েছে সেখানে সূর্যাস্ত হবে। সূর্যের আলোর অভাবে সেখানে রাত যেমন ঘনিয়ে আসবে তেমনই শীত পড়তে চলেছে। সঙ্গে সঙ্গে ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম হবে তাপমাত্রা। এইরকমের একটা সময়ে নিস্তেজ বিক্রমকে জাগানো প্রয়োজন হলেও, তা সম্ভব হবে না। কারণ, নিজেকে জাগানোর মতো কোনও তাপ উৎসপাদনকারী যন্ত্র বিক্রমের সঙ্গে নেই। আর নিস্তেজ বিক্রম জেগে না উঠলে যোগাযোগ আর সম্ভব নয়। যা ঘিরে আশঙ্কার মেঘ জমছে বেঙ্গালুরুর ইসরোতে।