প্রচারে যে যায় সেই হারে! কর্ণাটকের এই 'অপয়া' কেন্দ্র কি ডুবিয়ে দিল সিদ্দারামাইয়াকে
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে প্রতি মুহুর্তেই পাল্টে যাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণের চিত্রটা।
কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে প্রতি মুহুর্তেই পাল্টে যাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণের চিত্রটা। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠে বিজেপি বিজয় নিশান উড়িয়েও শেষমেশ আবারও 'কিং মেকার' হিসাবে উঠে আসতে দেখা যাচ্ছে জেডিএ-এর কুমারস্বামীকে। তবে এরকম ডামাডোলের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উঠে আসছে আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই তথ্য কর্ণাটকের মাইসোরের নিকটবর্তী চামারাজানগর এলাকাকে নিয়ে। কেন 'অপয়া' তকমা লেগে রয়েছে এই নির্বাচনী কেন্দ্রের নামের সঙ্গে? জেনে নেওয়া যাক কিছু তথ্য।
চামারাজানগর নিয়ে কী তথ্য উঠে আসছে?
১৯৮০ সালে প্রথমবার চামারাজানগরকে ধরা হয়েছিল 'অপয়া' হিসাবে। সেই সময়ে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ডি দেবরাজ উর্স। যিনি চামরাজানগর কেন্দ্রটিতে সভা করার ৬ মাসের মাথায় নিজের মুখ্যমন্ত্রীত্ব হারিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে ১৯৮২ সালেও ঘটে একই ঘটনা। সেই সময়ে আর গুণ্ডু রাও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনিও চামরাজানগর কেন্দ্রে সফর করার পরই মুখ্যমন্ত্রীত্ব খোয়ান।
রয়েছে আরও উদাহরণ!
১৯৯১ সালেও পর পর ৩ জন কন্নড় মুখ্যমন্ত্রী পদ হারিয়েছিলেন চামরাজানগরে রাজনৈতিক প্রচারের পর পরই। তারপর থেকে অনেকেই চামরাজানগরকে এড়িয়ে চলতে থাকেন। বীরাপ্পা মইলি, এইচ ডি দেবেগৌড়া, এসএম কৃষ্ণা, ধরম সিংয়ের মতো তাবড় কন্নড় নেতারা চামারাজানগর এলাকায় সভা সমিতি করেননি।
সফর করেছেন সিদ্দারামাইয়া
এবছর চামরাজানগর সম্পর্কে মানুষের 'অপয়া' -র তকমাকে ভুল প্রমাণিত করতে চেয়েছিলেন কর্ণাটকের কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর সরকার ধরাসায়ী হয়ে যায়।
মোদী এড়িয়ে গিয়েছেন চামারাজানগর
কন্নড় মুখ্যমন্ত্রীরা তো বটেই, এমন কী দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও কর্ণাটক সফরে এড়িয়ে গিয়েছেন চামরাজানগর কেন্দ্রটি। এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই নানা আলোচনা করেন।
ইয়েদুরপ্পা কী করেছেন?
বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বি এস ইয়েদুরপ্পা এই এলাকায় যাওয়ার কথা থাকলেও , তিনি নির্বাচনী প্রচারে সফর করেননি চামরাজানগরে। তবে এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এই এলাকায় যাননি তিনি।