প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে, বেঙ্কাইয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কংগ্রেস
রাজ্যসভায় ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের অপসারণের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। নাইডুর ওই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন কংগ্রেসের দুই রাজ্যসভার সাংসদ।

এদিন সর্বোচ্চ আদালতে এব্যাপারে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন পঞ্জাব থেকে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ হওয়া প্রতাপ সিং বাজওয়া ও গুজরাতের অমী হর্ষদ্রয় যাজ্ঞিক। পিটিশনে তাঁরা জানিয়েছেন, দীপক মিশ্রের অপসারণ প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন ৫০ জনেরও বেশি সাংসদ। সংবিধান অনুযায়ী ৫০ জনের বেশি সাংসদের সই সম্বলিত কোনও প্রস্তাব চেয়ারম্যান খারিজ করতে পারেন না। বরং তাঁর, এই প্রস্তাব মতো প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এক তদন্ত কমিটি গড়ার কথা। পাশাপাশি স্পিকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। জানিয়েছেন, গত ২০ এপ্রিল ওই প্রস্তাব আনা হয়েছিল। আর স্পিকার তাঁর সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন ২৩ তারিখ। মাঝের দু'দিন তিনি উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্ব সামলাতে দিল্লির বাইরে ছিলেন। কাজেই কোনও আলাপ আলোচনা ছাড়াই সংবিধানকে এড়িয়ে তিনি ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বিষয়গুলি জানিয়ে তারা সর্বোচ্চ আদালতের কাছে দাবি করেছেন, আদালত যেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলির তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
কপিল সিব্বল ও প্রশান্ত ভূষণ কংগ্রেস সাংসদদের দাখিল করা পিটিশনটি বিচারপতি জে চেলামেশ্বর ও বিচারপতি এস কে কউলের বেঞ্চে পেশ করেছেন। প্রসঙ্গত, গত ১২ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ জানিয়ে এক বেনজির সাংবাদিক সম্মেলন করেন সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন বিচারপতি, তার নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি চেলামেশ্বরই। এই কারণে প্রথমে এবিষয়ক মামলা শুনতে নারাজ ছিলেন তিনি। কিন্তু সিব্বল ও ভূষণ যুক্তি দেন, যেহেতু প্রধান বিচারপতি এই মামলার শুনানি ও বিচার করতে পারবেন না, তাই বিচারপতি চেলামেশ্বরের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ-এই এই মামলার বিচার করতে হবে। সিব্বল বলেন, তাঁরা এব্যাপারে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন অর্ডার চান না। একটা যথাযথ বেঞ্চ মামলাটি শুনে নথিভূক্ত করুক এটাই তাদের একমাত্র চাহিদা। বিচারপতি চেলামেশ্বর ও এস কে কউল মামলাটি শুনে পিটিশনটি আগামীকাল আদালতে নথিভূক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০ এপ্রিল ৬৪ জন সাংসদের স্বাক্ষরিত প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রকে বরখাস্ত করার প্রস্তাবটি আনা হয়েছিল রাজ্যসভায়। ওই ৬৪ জনের মধ্যে কংগ্রেস, এনসিপি, সিপিআইএম, সিপিআই, সপা, বসপা ও মুসলিম লিগের সাংসদরা ছিলেন।