মহারাষ্ট্রের শরদ পাওয়ারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ! শিবসেনার পরে এনসিপিতে বড় ভাঙনের আশঙ্কা
প্রায় ৩০ মাস আগে এক অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন এনসিপির (NCP) প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। নিজের দলকে পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি তিনি কংগ্রেসকে (Congress) সঙ্গে নিয়ে শিবসেনার (Shiv Sena) সঙ্গে সরকার গঠনের সব থেকে বড়
প্রায় ৩০ মাস আগে এক অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন এনসিপির (NCP) প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। নিজের দলকে পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি তিনি কংগ্রেসকে (Congress) সঙ্গে নিয়ে শিবসেনার (Shiv Sena) সঙ্গে সরকার গঠনের সব থেকে বড় মাথা হয়ে উঠেছিলেন। তাঁরই প্রচেষ্টায় মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে (BJP) ক্ষমতার বাইরে রাখা গিয়েছিল। তবে এবার আর তা ধরে রাখতে পারেননি শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। বিজেপিতো ফের ক্ষমতায় ফিরেইছে, সঙ্গে নিজের দলেও ভাঙনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
পাওয়ারের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে
একসময় যে সরকার গঠনে তিনি উল্লেখযোটগ্য ভূমিকে নিয়েছিলেন, আড়াই বছর পরে সেই সরকারকে রক্ষা করতে পারলেন না শপদ পাওয়ার। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এর ফলে মহারাষ্ট্রে এনসিপির ভবিষ্যত, তাঁর নেতৃত্ব, দলে তাঁর উত্তরাধিকার নিয়ে ননা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত হল, উদ্ধর ঠাকরের পরে বিজেপির নিশানায় এবংর পাওয়ার এবং এনসিপি। মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আঘাডি সরকারের পতনের ফলে এনসিপি এবং শরদ পওয়ারের উত্তরাধিকার এই মুহুর্তে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি।
এনসিপির অভিযোগ
এই মুহূর্তে না ভাঙলেও, গত কয়েকদিনে বিজেপি এনসিপিকে ভাঙানোর নানা চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন এনসিপি নেতারা। এব্যাপারে বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এনসিপি নেতারা।
এনসিপিতে অস্থিরতা
২০১৯-এ বিজেপি মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় বসতে পারেনি। যার প্রধান কারণ শারদ পাওয়ার। তবে গত আড়াই বছরে এনসিপিতে নানা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। দলের একের পর এক নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরস্থা। প্রাক্তন হয়ে যাওয়া এমভিএ সরকারের দুই মন্ত্রী নবাব মালিক এবংঅনিল দেশমুখ রয়েছে জেলে। অন্যদিকে এনসিপির অপর নেতা একনাথ খাডসের সম্পত্তি অ্যাটাচ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আয়কর বিভাগ অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। এনসিপির প্রাক্তন মন্ত্রী হাসান মুশরিফের চিনি ফ্যাক্টরিতে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগউঠেছে।
এনসিপি নেতার সঙ্গে বৈঠক ফড়নবিশের
৩০
জুন
একনাথ
শিন্ডে
শপথ
নেওয়ার
কয়েকঘন্টার
মধ্যেই
অজিত
পাওয়ারের
ঘনিষ্ঠ
বলে
পরিচিত
এনসিপি
নেতা
ধনঞ্জয়
মুণ্ডে
ফড়নবিশের
সঙ্গে
বৈঠক
করেন
বলে
সূত্রের
খবর।
মুণ্ডে
একদিকে
যেমন
ওবিসি
নেতা,
অন্যদিকে
বিধান
পরিষদে
তিনি
বিরোধীদের
নেতৃত্ব
দিয়েছেন।
সেই
ভূমিকা
থেকে
ফড়নবিশের
সঙ্গে
বৈঠক
নিয়ে
গুঞ্জন
উঠেছে।
এনসিপির
একাধিক
নেতা
ইতিমধ্যে
বলেছেন,
মুম্বইতে
সরকার
গরিপর্তনের
সঙ্গে
সঙ্গে
বেশ
কিছু
নেতার
দল
ছাড়তে
খুব
একটা
বেশই
সময়
লাগবে
না।
এনসিপির
অপর
একটি
অংশ
বলছে,
ঠাকরেকে
দুর্বল
করার
পরে
বিজেপির
লক্ষ্য
যে
এখন
এনসিপি
তা
আর
বলার
অপেক্ষা
রাখে
না।
বিজেপি
আবার
অজিত
পাওয়ারকেই
টার্গেট
করতে
পারে।
কেননা
২০১৯-এর
৮০
ঘন্টার
সরকারে
বিজেপির
সঙ্গে
গিয়েছিলেন
অজিত
পাওয়ার।
প্রকাশিত
খবর
অনুযায়ী,
তাঁর
বিরুদ্ধে
নতুন
করে
তদন্ত
শুরু
করার
ইঙ্গিত
দিয়েছে
আয়কর
দফতর।
আস্থা ভোটের আগে ফের চমক! একনাথ শিন্ডেকে শিবসেনা থেকে 'অপসারণ' করলেন উদ্ধব ঠাকরে