দেশে নতুন করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, সাত রাজ্যকে সতর্ক করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক
দেশের করোনা সংক্রমণের হার নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সাতটি রাজ্যকে কেন্দ্র ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সতর্ক করা হয়েছে। রাজ্যগুলোকে কোভিড বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি টিকাকরণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সতর্ক করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ ইতিমধ্যে দিল্লি, কেরল, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, তেলেঙ্গানার স্বাস্থ্য সচিবদের চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছেন। এই রাজ্যগুলোতে করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে। বর্তমানে রাজ্যগুলোতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে টিকাকরণের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি কঠোর করোনা বিধি মেনে চলা প্রয়োজন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। বিভিন্ন উৎসবের মরশুমে ব্যাপক জনসমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে। যার জেরে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যেতে পারে। তারসঙ্গে বাড়তে পারে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। তাই রাজ্যগুলোকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক চিঠিতে সতর্ক করেছে।
ভারতে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯,৪০৬ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৪৯ জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গে ৫ জনের, ছত্তিশগড়ে তিন জনের, দিল্লি, গুজরাত, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, রাজস্থান ও ত্রিপুরায় দুই জন, কেরল, মেঘালয় হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, ন্যাগাল্যান্ড, সিকিম, পঞ্জাব, ওড়িশা ও উত্তরপ্রদেশে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতে মূলত ওমিক্রমন ও তার সাব ভেরিয়েন্টে সংক্রমিত হচ্ছেন আক্রান্তরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃদু উপসর্গ রয়েছে।
দিল্লি ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতি
দিল্লি করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে করোনা সংক্রমন ছয় মাসে সর্বাধিক। দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ ১২.৯৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে ২,৪১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত তিন ধরে দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণ দুই হাজারের বেশি। দিল্লির চিকিৎসক সুরেশ কুমার জানিয়েছেন, করোনা বিধি মেনে চলাতে সাধারণ মানুষের অনীহা দেখা দিয়েছে। বুস্টার ডোজ বা করোনার তৃতীয় ডোজ অনেকেই নেননি। যার জেরে দিল্লিতে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার বাড়ছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই গুরুতর। এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দ ৪ থেকে ৫ শতাংশ বেড ভর্তি হয়েছে। তবে এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। এখনও সাবধান হওয়ার সময় রয়েছে বলে তিনি মনে করছেন।