অক্টোবরেই ভারতে আসছে আরও চারটি নতুন ভ্যাকসিন! তৃতীয় ওয়েভের আতঙ্কের মধ্যেই স্বস্তির খবর
ভারতের জনসংখ্যার নিরিখে আরও দ্রুত হারে ও আরও বেশি করে টিকাকরণের প্রয়োজনীয়তার কথা বারবার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এরইমধ্যে আশার খবর। অক্টোবরেই ভারতে আসছে আরো ৪ টি নতুন ভ্যাকসিন। এ ছাড়াও গত সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরনো ভ্যাকসিনের
ভারতের জনসংখ্যার নিরিখে আরও দ্রুত হারে ও আরও বেশি করে টিকাকরণের প্রয়োজনীয়তার কথা বারবার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এরইমধ্যে আশার খবর। অক্টোবরেই ভারতে আসছে আরো ৪ টি নতুন ভ্যাকসিন। এ ছাড়াও গত সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরনো ভ্যাকসিনের মোট ৪৫ কোটি ডোজ সরকারের হাতে আসবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাবে বলেও আশা করছে কেন্দ্র কেন্দ্রের দাবি সব ক্রাইটেরিয়াতেই উত্তীর্ণ হয়েছে কোভ্যাকসিন। সম্ভবত ১৫ অগস্টের পর মিলবে অনুমোদন।
সূত্রের খবর জাইডাস ক্যাডিলা, নোভাভ্যাক্স, জেনোভা ভ্যাকসিন অক্টোবরের মধ্যে আসবে ভারতে। এছাড়া কোভিশিল্ড, স্পুটনিক ভি ও কোভ্যাকসিনের ২০টি কোটি ডোজ ও সেপ্টেম্বরের ২৫ কোটি ডোজ পাবে কেন্দ্র। এছাড়া এ মাসে কোন ভ্যাকসিনের বেশি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই সরকারি সূত্রের দাবি চেম্বারের মধ্যে প্রত্যেকদিন ১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে।
ভারতে যে তৃতীয় ঢেউ আসবে না সে ব্যাপারে মোটামুটিভাবে আত্মবিশ্বাসী কেন্দ্র। কেন্দ্রের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, ভারতে খুব বেশি হলে প্রত্যেক দিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার করোনা আক্রান্ত হতে পারে, তার বেশি হবে না। নতুন ভ্যারিয়েন্টের আমদানি না হলে তৃতীয় ঢেউ আসবে না বলেই অনুমান করছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের আশা ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে। ওই সময়ের মধ্যে দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ নাগরিকের দুটি ডোজ সম্পূর্ণ হবে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।
কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে সরকারের কাছে বিদেশি ভ্যাকসিন খুব বেশি নেই। এমনকি স্পুটনিক ভি-র জোগান এত কম যে তা দেখে সন্তুষ্ট নয় কেন্দ্র। কেন্দ্র চাইছে যত সম্ভব দেশিয় ভ্যাকসিন মজুত করতে। তবে দেশে যে ডাক্তারের অভাব রয়েছে একথা মানতে নারাজ কেন্দ্র।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে রাজ্য এবং বেসরকারি হাসপাতালে হাতে এই মুহূর্তে ৫ কোটি ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে ৩ কোটি রয়েছে রাজ্যগুলির হাতে, দু'কোটি রয়েছে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর হাতে।
কেন্দ্র ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে বেসরকারি হাসপাতালগুলির যত টুকু প্রয়োজন ততটুকুই দিতে, বাকি সব ভ্যাকসিন কেন্দ্রকে দিয়ে দিতে। আগামী শুক্রবার ভ্যাকসিন নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মানহদব্য-র সঙ্গে বৈঠকে বসবেন সেরাম ইন্সিটিউট এর কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা। সরকার যতটা চায়, তার থেকে বেশি ভ্যাকসিন দেয় সেরাম। তাই তাদের ভূমিকায় খুশি কেন্দ্র।