ভুয়ো ডিগ্রির রমরমা ঠেকাতে তথ্যভাণ্ডার গড়ছে কেন্দ্র
জাল মার্কশিট, শংসাপত্র দিয়ে দেশে বিশেষত হিন্দি বলয়ে চাকরি পাওয়ার ঘটনা অনেকগুলি সামনে এসেছে। ২০১১ সালে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী কপিল সিবাল একটি বিল আনেন। 'ন্যাশনাল অ্যাকাডেমিক ডিপোজিটরি বিল' শীর্ষক ওই বিলে বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়। শেষ পর্যন্ত তা পাশ করাতে পারেনি ইউপিএ সরকার। এনডিএ ক্ষমতায় এসে বিলে কিছু পরিবর্তন করে। খুব শীঘ্র তা পার্লামেন্টে পেশ করা হবে।
কীভাবে কাজ করবে উক্ত তথ্যভাণ্ডার?
প্রথমত, দিল্লিতে থাকতে একটি ইলেকট্রনিক ডেটাবেস। সারা দেশে যত পড়ুয়া রয়েছে, তাদের পরীক্ষার নম্বর, সার্টিফিকেটের কপি ওই তথ্যভাণ্ডার বা ডেটাবেসে সংরক্ষিত থাকবে।
দ্বিতীয়ত, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষা, স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পিএইচডি, এমবিএ, এলএলবি, এমবিবিএস সব ধরনের পরীক্ষার্থীর তথ্য এখানে মিলবে।
তৃতীয়ত, এখন কারও মার্কশিট বা সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে পুলিশি ঝক্কি পুইয়ে ডুপ্লিকেট বের করতে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়। এর পর ইলেকট্রনিক ডেটাবেস থেকে প্রিন্ট আউট বের করে নেওয়া যাবে।
চতুর্থত, সব রাজ্যের শিক্ষা সংসদ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের সংশ্লিষ্ট তথ্য ওই তথ্যভাণ্ডারে জমা দেবে।
পঞ্চমত, কেউ যাতে ওই ডেটাবেস থেকে প্রিন্ট আউট নেওয়ার সময় জালিয়াতি করতে না পারে, সে জন্য একটি বারকোড থাকবে। বারকোড পরীক্ষা করলেই আসল তথ্য জানা যাবে।
ষষ্ঠত, নিয়োগকর্তারা কারও শিক্ষাগত যোগ্যতা পরীক্ষা করতে চাইলে তাদের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সরকারকে জমা দিতে হবে। তার পর ডেটাবেস থেকে মিলবে তথ্য।
আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সিবিএসই এই তথ্যভাণ্ডার দেখভালের দায়িত্ব সামলাবে। পরে তা তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব কেন্দ্র নিজের হাতে নিয়ে নেবে।