'রাফালে থাকলে কার্গিলে এত জওয়ান শহিদ হতো না', সুপ্রিম কোর্টে 'কাল্পনিক' যুক্তি কেন্দ্রের
রাফালে চুক্তি ও তার নানা আঙ্গিক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বুধবার জোর শুনানি চলেছে।
রাফালে চুক্তি ও তার নানা আঙ্গিক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বুধবার জোর শুনানি চলেছে। শীর্ষ আদালত তার রায় জানায়নি। এরই ফাঁকে কেন্দ্রের হয়ে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল অদ্ভুত যুক্তি সাজিয়েছেন। যে কাল্পনিক যুক্তি শুনে কিছুটা বিরক্তই হয়েছেন মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
কার্গিল প্রসঙ্গ
কেকে বেণুগোপাল জানিয়েছেন, কার্গিল যুদ্ধের সময় রাফালে যুদ্ধবিমান ভারতের কাছে থাকলে এত সেনাকে মৃত্যুর মুখে পড়তে হতো না। অনেকের প্রাণ বেঁচে যেত। তাই কালবিলম্ব না করে অবিলম্বে সমস্ত বিতর্ক মিটিয়ে রাফালে বিমান ভারতের কিনে ফেলা উচিত বলে দাবি করেন তিনি।
কাল্পনিক যুক্তি
অ্যাটর্নি জেনারেলের মুখে এই কাল্পনিক যুক্তিতে অনেকেই অবাক হন। বেণুগোপাল বলেন, কার্গিলে সেনারা শহিদ হয়েছেন। রাফালে থাকলে ৬০ কিলোমিটার দূর থেকে এটি পাহাড়ের মাথায় আঘাত করতে পারত। যে যুক্তি শুনে শুনে বিচারপতি রঞ্জন গগৈ আশ্চর্য হন।
রাফালে কেনার যুক্তি
কেকে বেণুগোপাল না থেমে বলেন, এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ক্ষেত্র। বায়ুসেনা তাদের ক্ষমতা বাড়ানোর কথা অনেকদিন ধরে বলছে। তাই ৩৬টি রাফালে বিমান কেনার প্রক্রিয়া অবিলম্বে সেরে ফেলা উচিত। এভাবেই নিজের যুক্তি সাজান অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল।
মুখ্য বিচারপতির বিস্ময়
বিচারপতি রঞ্জন গগৈ যুক্তি শুনে আশ্চর্য ও খানিক বিরক্ত হন। পাল্টা জিজ্ঞাসা করেন, কার্গিল যুদ্ধ তো ১৯৯৯-২০০০ সালে ঘটেছে। রাফালে এসেছে ২০১৪ সালে। যা শুনে হেসে বেণুগোপাল বলেন, তিনি কাল্পনিক যুক্তি সাজিয়েছেন।
মূল অভিযোগ
এই মামলার মূল অভিযোগ হল, কংগ্রেস আমলে হওয়া ১২৬টি রাফালে বিমানের চুক্তিকে বাতিল করে নরেন্দ্র মোদী সরকার ৩৬টি বিমান কেনার চুক্তি করে। এবং শিল্পপতি অনিল আম্বানির ঋণে জর্জরিত সংস্থাকে অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা করে ড্যাসল্টের সহযোগী বানিয়ে। বিরোধীরা ৫৯ হাজার কোটি টাকার এই চুক্তিতে সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে।