ভ্যাকসিন তথ্যের অপ-ব্যবহারে রুখতে রাজ্যগুলি চিঠি কেন্দ্রে
ভ্যাকসিন তথ্যের অপ-ব্যবহারে রুখতে রাজ্যগুলি চিঠি কেন্দ্রে
রাজ্যে মজুত করোনা ভ্যাকসিন তার প্রভাব ও ব্যবহার নিয়ে প্রচুর তথ্য রয়েছে বাজারে৷ এবার এই তথ্যগুলির অপব্যবহার রুখতে সচেষ্ট হচ্ছে কেন্দ্র৷ সম্প্রতি এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে৷ অননুমোদিত ব্যবসায়িক সেক্টরগুলি ইভিএন (ইলেকট্রনিক ভ্যাকসিন ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক) ভ্যাকসিনের তথ্যে দিতে রাজ্যগুলিকে মানা করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
কী এই ইভিএন?
ইভিএন (ইলেকট্রনিক ভ্যাকসিন ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক) ভারতে দেশীয়ভাবে তৈরি একটি প্রযুক্তি সিস্টেম যা ভ্যাকসিন স্টককে ডিজিটাইজ করে পাশাপাশি স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে যে হিমঘরে ভ্যাকসিন রাখা হয় তার তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করে।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ছ'বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউআইপি-র অধীনে ব্যবহৃত সমস্ত ভ্যাকসিনের তথ্য সংরক্ষণের জন্য ই-ভিআইএন বৈদ্যুতিন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে। এই প্লাটফর্মে মজুদ ভ্যাকসিনের সংক্রান্ত যে কোন তথ্য কোনও সংস্থার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে অনুমতি নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিনের উৎপাদন ও বিতরণ নিয়ে মোদী সরকারকে কোনঠাসা করতে চাইছে বিরোধীরা। সম্প্রতি তাদের জবাব দিয়েই দেশে মজুত ভ্যাকসিনের তথ্য প্রকাশ করে কেন্দ্র। দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সম্প্রতি জানানো হয় রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে এখনও মোট ১.৬৪ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ মজুত রয়েছে।
দেশে ভ্যাকসিনেশন শুরু হবার প্রথম থেকেই ফ্রিতে সরাসরি এবং রাজ্যগুলির চাহিদা অনুসারে ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে কেন্দ্র। এখন পর্যন্ত মোট ২৩ কোটি ভ্যাকসিন রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলোতে পাঠানো হয়েছে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়৷ এই মোট ভ্যাকসিনের মধ্যে থেকে প্রায় ২১ কোটি ৭১ লক্ষ ৪৪ হাজার ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়েছে৷ তবে রাজ্যগুলিকে দেওয়া এই মোট সংখ্যার কিছু ভ্যাকসিন নষ্টও হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সবশেষ হিসেবে দেখা গিয়েছে দেশের রাজ্য ও কেন্দ্রাশাসিত অঞ্চলগুলিতে প্রায় ১ কোটি ৬৪ লক্ষ ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে৷