
বিচারপতিদের জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্যানেল প্রত্যাখ্যান! সর্বোচ্চ আদালতের কাছে ২০ জনের নাম ফেরত কেন্দ্রের
সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সুপারিশ করা বিচারপতি হিসেবে ১০ জনের নাম অনুমোদন করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। এনডিটিভির প্রতিবেদনে এমনচাই বলা হয়েছে। ২৫ নভেম্বর সেই সংক্রান্ত ফাইল ফেরত পাঠানো হয়। সেই তালিকায় দেশে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির বিএন কৃপালের ছেলে সুপ্রিম কোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী সৌরভ কৃপালের নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের নতুন করে পাঠানো কিছু নামও ফেরত পাঠিয়েছে কেন্দ্র।

কে বাতিল সৌরভ কৃপালের নাম
এই মাসের শুরুর দিকে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সৌরভ কৃপাল বলেছিলেন, যৌন প্রবণতার কারণে তার নাম অপছন্দের হয়ে পড়েছে। তিনি বলেছেন, সরকার একজন সমকামী ব্যক্তিকে বেঞ্চে নিয়োগ করতে চায় বলে তিনি মনে করেন না। ৫০ বছর বয়স্ক এই আইনজীবীর বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ আটকে রয়েছে ২০১৭ সাল থেকে। প্রসঙ্গত দিল্লি হাইকোর্টের কলেজিয়ামের তরফে ২০১৭-র ১৩ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে সুপারিশ করা হয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালত সেই ফাইল গ্রহণ করে ২০১৮-র ২ জুলাই। তবে এব্যাপারে চারবার তাদের সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টের অসন্তোষ
বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে শীর্ষ আদালতের আবেদনের ভিত্তিতে বর্তমানে দুই বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি চলছে। তারই মধ্যে কেন্দ্রের নাম ফেরতের বিষয়টি সামনে এসেছে। তবে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে বিচারপতি নিয়োগে কেন্দ্রের ছাড়পত্রে দেরির কারণে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিচারপতি এসকে কাউল এবং বিচারপতি এএস ওকারের বেঞ্চ বলেছে, কলেজিয়াম একটি নাম ফের সুপারিশ করলে সেখানেই অধ্যায়ের শেষ হয়ে যায়। কিন্তু সরকার বিষয়টিকে অমীমাংশিতই রেখে দিয়েছে। দুই বিচারপতির বেঞ্চ সরকারি আইনজীবীকে বলেছেন, দয়া করে বিষয়টির সমাধান করুন। তাঁরা এও বলেছেন এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে যেন তাঁদের বাধ্য না করা হয়। বিচারপতিরা বলেছেন নাম কখনই আটকে রাখা যায় না। কখনও কখনও যখন সরকার নিয়োগ করে, তালিকা থেকে কিছু নাম তুলে নেয়, কিন্তু অন্যগুলি সম্পর্কে কিছু জানানো হয় না। সরকার যা করে, তাতে সিনিয়রিটি ব্যাহত হয় বলেও মন্তব্য করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে।

আগে কী হত
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু বলেছেন, ১৯৯১ সালের আগে কেন্দ্রীয় সরকারই বিচারপতিদের বাছাই করত। কিন্তু বর্তমানের ব্যবস্থায় বিচারবিভাগও অংশগ্রহণ করে।

সরকারের ২০ নাম সুপ্রিম কোর্টের কাছে
সরকারের তরফে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে সৌরভ কৃপাল-সহ ২০ বিচারপতির নাম ফের বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর আগে কৃপাল অভিযোগ করেছিলেন তাঁর সমকামীতার জন্যই নিয়োগ আটকে রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট কৃপালের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি চারবার পিছিয়ে দেয়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে সরকারিরে কাছে সৌরভ কৃপালকে নিয়ে তাদের অবস্থান জানাতে বলেছিল। তবে ২০২১-এর ১১ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বাধীন কলেজিয়াম কৃপালের পক্ষেই উদ্যোগ নেয়।
পুলিশ খুঁজছে হন্যে হয়ে, বিজেপি সাংসদ তেজস্বী প্রকাশের সঙ্গে এক মঞ্চে রাউডি সুনীল