নাগরিকত্ব ইস্যুতে অনিচ্ছুক রাজ্যগুলির বিরোধিতার জেরে নয়া ভাবনা কেন্দ্রের!
কেরল বিধানসভায় গতকালই একটি প্রস্তাব পাশের মাধ্যমে সেখানে বাম সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে , কেরলে সিএএ কিছুতেই লাগু হতে দেবেনা।
কেরল বিধানসভায় গতকালই একটি প্রস্তাব পাশের মাধ্যমে সেখানে বাম সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে , কেরলে সিএএ কিছুতেই লাগু হতে দেবেনা। এমন সুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে একাধিক, অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও শোনা গিয়েছে। আর সেই কারণেই এবার অন্যপথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের কথা ভাবছে।
কী বলছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সূত্র?
এর আগে, রাজ্যগুলির ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্র্যাট পর্যায়ে গিয়ে যাবতীয় নাগরিকত্ব বিষয়ক রেজিস্ট্রেশনের কথা ভেবেছিল কেন্দ্র। আর তা অনলাইনেই হওয়ার কথা ছিল। তবে এবার কেন্দ্র ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া অন্য এক 'প্রশাসনিক' কর্তাকে এই নাগরিকত্ব ইস্য়ুতে দায়িত্বভার দেওয়ার কথা ভাবছে।
অনলাইন পদ্ধতি ও কেন্দ্রের পদক্ষেপ
অনলাইনে এবার নাগরিকত্ব ইস্যুতে রেজিস্ট্রেশনের জন্য রাজ্যসরকারের প্রতিনিধি ছাড়াও থাকতে পারেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিও। ফলে যে সমস্ত রাজ্য সরকার সিএএ বিরোধিতায় নেমেছে , সেখানে এই আইন লাগু করার ক্ষেত্রে এই পন্থাতেই হাঁটাকে সুবিধা জনক মনে করছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এমনই দাবি এক সূত্রের।
রাজ্যের ক্ষমতা ও সিএএ লাগু
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে , রাজ্যগুলির কোনও ক্ষমতাই নেই যে তারা নাগরিকত্ব আই অমান্য করে। ফলে শএষমেশ এই আইন মানতে হবে। আর তার জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়াকরণ শুরু হবে।
৬ টি ধর্মের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব
গত ৫ বছর ধরে ৬ টি বিশেষ ধর্মের যে সমস্ত শরণার্থী ভারতে বসবাস করছেন ,তাঁরাই একমাত্র ভারতে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন সিএএ -র আওতায়। এই ধর্মগুলি হল, শিখ, হিন্দু, জৈন, পারশি, খ্রিস্টান,বৌদ্ধ। পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে আগত এই শরাণার্থীদেরই একমাত্র আশ্রয় দেবে ভারত।
আসন্ন পুরসভা ভোটে কী হতে পারে ফল, উপনির্বাচনে হারের পর জানালেন মুকুল