ইডির ক্ষমতা নিয়ে বিতর্ক, আর্থিক তছরুপ মামলার রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন তালিকাভুক্ত সুপ্রিম কোর্টে
ইডির ক্ষমতা নিয়ে বিতর্ক, আর্থিক তছরুপ মামলার রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন তালিকাভুক্ত সুপ্রিম কোর্টে
আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে শুধু অসাধু ব্যবসায়ীরাই জড়িত থাকে না। অনেক সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আর্থিক দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকে। যেটা দেশের নিরাপত্তা উদ্বিগ্নের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ইডির ক্ষমতা বহাল রক্ষার পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে কেন্দ্রের তরফে মন্তব্য করা হয়। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আর্থিক দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে গ্রেফতার, অর্থ পাচারের সঙ্গে যুক্ত সম্পত্তির তদন্ত, বাজেয়াপ্ত সম্পর্কিত এনফোর্সমেন্ট ডিরক্টরেটের ক্ষমতা বহাল নিয়ে দেওয়া আগের রায়ের পর্যালোচনা করতে আবেদনটি তালিকাভুক্ত করেছে।
২৭ জুলাই একটি পর্যবেক্ষণে সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছিল, আর্থিক তছরুপ কোনও সাধারণ অপরাধ নয়। বিশ্বব্যাপী আর্থিক তছরুপ ও টাকা পাচার ক্রমেই দেশের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অন্যদিকে, কেন্দ্রের তরফে ইডির ক্ষমতা বহাল রাখার পক্ষেই সওয়াল করা হয়। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, অর্থিক তছরুপ শুধু কোনও অসাধু ব্যক্তি করে না। এরসঙ্গে দেশের নিরাপত্তা জড়িয়ে থাকতে পারে। অনেক সময় আর্থিক তছরুপের অর্থ জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোতে পাচার হয়। যা দেশের নিরাপত্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেই কারণেই ইডির ক্ষমতা বহার রাখা প্রয়োজন। যদিও বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করেছে, কেন্দ্র নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ইডি বা এই ধরনের সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছে। এই বিষয়ে ২০০টির বেশি পিটিশন জমা পড়েছিল। অভিযোগ, রাজনৈতিক হয়রানির জন্যই কেন্দ্র ইডিকে ব্যবহার করছে।
আর্থিক তছরুপ মামলা (পিএমএলএ) এনফোসর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতার, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও তল্লাশি চালাতে পারবে। একটি রায়ে ইডিকে ছাড়পত্র দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পিএমএলএ আইনে ইডির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মামলা হয়েছিল। তার বেশিরভাগই ২৭ জুলাই বিচারপতি এএম খানইউলকরের বেঞ্চ খারিজ করে দেয়। আবেদনকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও ব্যক্তিকে কারণ না জানিয়ে গ্রেফতার করা অসংবিধানিক। বিচারপতি এএম খানইউলকরের বেঞ্চ ইডির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করা মামলার বেশিরভাগ খারিজ করে দিলেও সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতি এনভি রমনার নেতত্বাধীন একটি বেঞ্চ এই বিষয়টিকে পর্যালোচনার জন্য তালিকাভুক্ত করেছে। বিরোধীদের জন্য এটি কিছুটা স্বস্তির খবর।
বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে ইডিকে ব্যবহার করছে। অর্থমন্ত্রক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ইডি নয় বছরে ১২২টি তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গত আট বছরে ৩,০১০টি তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে। ২৭ জুলাইয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় কেন্দ্রের পক্ষেই ছিল। বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করে ইডির ক্ষমতার পক্ষেই রায় দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। কিন্তু সোমবার সুপ্রিমকোর্ট বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য তালিকাভুক্ত করেছে। যা কেন্দ্রের জন্য যথেষ্ঠ অস্বস্তির কারণ, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
কিছু লোকের খারাপ কাজে সবার বদনাম! কুৎসা বন্ধ না করলে রুখে দাঁড়াব, হুঁশিয়ারি সৌগত রায়ের