রাজীব গান্ধীর খুনিদের এখনই মুক্তি নয়, স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
রাজীব গান্ধীর খুনিদের ছেড়ে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত তামিলনাড়ু সরকার নিয়েছিল, তার বিরোধিতা করে এদিনই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র। জয়ললিতা বলেছিলেন, ফৌজদারি কার্যবিধিতেই বলা হয়েছে, রাজ্য সরকার এভাবে অপরাধীকে ক্ষমা করতে পারে। কেন্দ্রের পাল্টা বক্তব্য, আইনের ভুল ব্যাখ্যা করছেন জয়ললিতা। আসামিদের বিচার কেন্দ্রীয় আইন মেনে হয়েছিল। তাই কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া তিনি আসামিদের মুক্তি দিতে পারেন না। এই অবস্থানে অনড় থেকে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানায় কেন্দ্র। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছে তামিলনাড়ু সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর। স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত।
প্রসঙ্গত, গতকাল তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, আসামিরা দু'দশক ধরে জেলে রয়েছে। তিনজন আসামি অর্থাৎ মুরুগন, শান্তন ও পেররীবালনের ফাঁসির সাজা যখন যাবজ্জীবনে বদলে দিয়েছে শীর্ষ আদালত, তখন এদের ছাড়তে আর কোনও বাধা নেই। পাশাপাশি, একই অপরাধে জেলখাটা আরও চারজন নলিনী, রবার্ট, জয়কুমার ও রবিচন্দ্রনকেও মুক্তির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সমালোচনার ঝড় ওঠে। রাহুল গান্ধী গতকালই জানান, তিনি নিজে ফাঁসির পক্ষপাতী নন। তা বলে, খুনিরা বাইরে বেরিয়ে আসুক সেটাও চান না। তাতে ভুল বার্তা যাবে। কংগ্রেস রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে সমর্থন করে বিবৃতি দেয়।
এদিন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-ও মুখ খোলেন। তিনি বলেছেন, "রাজীব গান্ধীকে খুন করে দেশের আত্মাকেই আঘাত করা হয়েছিল। অপরাধীদের ক্ষমা করা সম্ভব নয়।"
এদিকে, জেলবন্দি নলিনীর মেয়ে হরিতা মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতাকে সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছেন। বলেছেন, "আমার মা জেলবন্দি রয়েছে ২৩ বছর ধরে। আমার শৈশব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমি তো কোনও দোষ করিনি। তবুও সাজা পাচ্ছি। আমার অনুরোধ, এবার আমার মাকে ছেড়ে দেওয়া হোক। তামিলনাড়ু সরকারের সিদ্ধান্তে আমি আশায় বুক বাঁধছি।"