কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে 'ক্লুলেস' কেন্দ্র! আরটিআই-এর উত্তর অমিত শাহের মন্ত্রকের
জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি নিয়ে জানে কেন্দ্র। কিন্তু সেখান পরবর্তী সময়কার পরিস্থিতির অনেকটাই নাকি কেন্দ্রের অগোচরে রয়েছে। অগাস্টের ৫ তারিখ থেকে সেখানে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি নিয়ে জানে কেন্দ্র। কিন্তু সেখান পরবর্তী সময়কার পরিস্থিতির অনেকটাই নাকি কেন্দ্রের অগোচরে রয়েছে। অগাস্টের ৫ তারিখ থেকে সেখানে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কিন্তু সেখানে টেলিফোনের যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, সেসম্পর্কে কেন্দ্র ক্লুলেস। প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তথ্য জানার অধিকারে করা মামলার উত্তরে এমনটাই উত্তর দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে।
'ক্লুলেস' কেন্দ্র
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কাশ্মীরে রাজনৈতিক আটক, টেলিফোনে নিষেধাজ্ঞা এবং স্যাটেলাইট পরিষেবা স্থগিত করা নিয়ে তাদের কাছে কোনও তথ্যই নেই। মন্ত্রকের তরফে আরটিআই-এর আবেদনকারীকে আরও জানানো হয়েছে, এই সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যেতে পারে জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের কাছে। ৩১ অক্টোবর থেকে যা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হবে। ফলে আরটিআই সেখানে প্রযোজ্য হবে না।
৩৭০ ধারা অবলুপ্তির সময় থেকে অর্থাৎ ৫ অগাস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা বলত রয়েছে। রাজনৈতিক আটক, টেলিফোনে নিষেধাজ্ঞা এবং স্যাটেলাইট পরিষেবা স্থগিত সবই করা হয়েছে সেখানে। বিভিন্ন সময়ে যা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
রাজনৈতিক আটক
কাশ্মীরে রাজনৈতিকভাবে অনেককেই আটক করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি। আটকদের তালিকায় রয়েছেন সিপিএম বিধায়ক ইউসুফ তারিগামিও। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সতর্কতামূলত ব্যবস্থা হিসেবেই তাঁদের আটক করা হয়।
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে 'স্বীকারোক্তি'
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকে দুবার সেখানে গিয়েছেন জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। একবার গিয়েছিলেন ৩৭০ ধারা তোলার সঙ্গে সঙ্গে। পরেরটি সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ। দ্বিতীয়বার কাশ্মীর সফরে গিয়ে অজিত দোভাল বলেছিলেন, রাজ্যের ৯২.৫ শতাংশ ভৌগলিক এলাকায় কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। তিনি আরও বলেছিলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের ১৯৯ টি থানার মধ্যে মাত্র ১০ টিতে নিষিদ্ধ আদেশ বলবত রয়েছে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছিলেন, সব ল্যান্ডলাইন পরিষেবা বলবত করা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, তাঁরা চান সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাক। কিন্তু সবই নির্ভর করছে কীভাবে পাকিস্তান ব্যবহার করে তার ওপর।
পাশাপাশি তিনি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজনৈতিক নেতাদের আটক রাখার কথাও 'স্বীকার' করে নিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আটক কারও বিরুদ্ধে দেশদ্রোহীতার মামলা দায়ের করা হয়নি।