সেনাকর্মীকে বিদেশি তকমা, কেন্দ্রকে নোটিস পাঠাল হাইকোর্ট
দ্বিতীয়বার মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এনআরসি ইস্যুতে প্রথম ধাক্কা। এনআরসিতে নাম না থাকায় সেনাকর্মীতে বিদেশি তকমা দিয়ে শরণার্থী শিবিরে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এই খবর শোরগোল ফেলেছে রাজ্য
দ্বিতীয়বার মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর এনআরসি ইস্যুতে প্রথম ধাক্কা। এনআরসিতে নাম না থাকায় সেনাকর্মীতে বিদেশি তকমা দিয়ে শরণার্থী শিবিরে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এই খবর শোরগোল ফেলেছে রাজ্য রাজনীতিতে।
গত
৩০
বছর
ধরে
ভারতীয়
সেনায়
কাজ
করেও
কী
করে
একজন
অনুপ্রবেশকারী
হতে
পারে
এই
নিয়ে
গুয়াহাটি
হাইকোর্টে
আবেদন
জানিয়েছিলেন
মহম্মজ
সানাউল্লা
নামে
ওই
প্রাক্তন
সেনাকর্মী।
আদালত
শুক্রবার
তাঁর
আবেদন
শোনার
পর
অসম
সরকার
এবং
কেন্দ্রকে
নোটিস
পাঠায়।
নোটিস
পাঠানো
হয়েছে
এনআরসি
কর্তৃপক্ষকেও।
অসম
সীমান্ত
রক্ষী
বাহিনীর
তদন্তকারী
পুলিস
অফিসার
চন্দ্রমাল
দাসকেও
পাঠানো
হয়েছে
নোটিস।
এদিন
মহম্মদ
সানাউল্লার
হয়ে
আদালতে
সওয়াল
করেন
শীর্ষ
আদালতের
বিশিষ্ট
আইনজীবী
ইন্দিরা
জয়সিং।
গত
৩০
বছর
ধরে
অসম
সীমান্ত
রক্ষী
বাহিনীতে
কাজ
করছেন
মহম্মদ
সানাউল্লা।
এনআরসি-তে
নাম
না
থাকায়
বেআইনি
অনুপ্রবেশকারী
অভিযোগে
তাঁকে
গ্রেপ্তার
করে
গত
একমাস
ধরে
রাখা
হয়েছে
শরণার্থী
শিবিরে।
অভিযোগ এই ঘটনায় তদন্তকারী অফিসার সানাউল্লার নাগরিকত্ব প্রমাণের কাগজপত্র কারচুপি করেছে। যে সময় সানাউল্লার নাগরিকত্ব নিয়ে তদন্ত করা হয় (২০০৮ সালের মে থেকে ২০০৯ সালের অগস্ট মাস) সেই সময় তিনি মৈনপুরীতে কর্তব্যরত ছিলেন। তদন্তকারী অফিসার নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন তদন্তের সময় সেখানে ছিলেন না সানাউল্লা।
সানাউল্লার মামলা নতুন করে এনআরসি ইস্যুতে উত্তেজনা তৈরি করবে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে। এমনিতেও মোদী সরকারের এই নীতি বেজায় অসন্তুষ্ট উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি। বিশেষ করে মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড। পরিস্থিতি এতোটাই উদ্বেগ জনক এই রাজ্যগুলিতে বিজেপি জোট ভাঙতে চাইছে শাসক দল।
এদিকে ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই অমিত শাহ হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন দেশের সব রাজ্যে এনআরসি চালু করা হবে। বাদ যাবে না পশ্চিমবঙ্গও।