৩৭০ ধারা নিয়ে শুনানিতে সুপ্রিমকোর্টে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর দাবি কেন্দ্রের!
বৃহস্পতিবার ৩৭০ ধারা নিয়ে দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে কাশ্মীর প্রসঙ্গে চাঞ্চল্যকর দাবি করল কেন্দ্রীয় সরকার । আজ সুপ্রিমকোর্টে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় যে জম্মু ও কাশ্মীরের সার্বভৌমত্ব অস্থায়ী ছিল এবং দেশের স্বার্থে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ছিল দেশের ঐক্য। পাশাপাশি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রসঙ্গে কেন্দ্র দাবি করে যে, পাকিস্তানের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের সার্বভৌমত্ব অস্থায়ী ছিল
কেন্দ্রের পক্ষে সওয়ালকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কক বেণুগোপাল আজ শীর্ষ আদালতে বলেন, '১৯৫৯ সালের প্রেমনাথ কৌল মামলার রায়ে বলে হয়েছিল : ১৯৪৭ সালের ২৫ অক্টোবর মহারাজ ভারতের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।' এরপর তিনি ভিপি মেননের লেখা 'ইন্টিগ্রেশন অফ ইন্ডিয়ান স্টেটস' বই থেকে একটি অংশ পড়ে বলেন, 'ভারতীয় রাজ্যগুলির এই সংযুক্তিকরণের মূল উদ্দেশ্য হল দেশের ঐক্যস্থাপন করা। আমি দেখাতে চাই যে জম্মু ও কাশ্মীরের সার্বভৌমত্ব সত্যই অস্থায়ী ছিল। আমরা আদতে একটি ইউনিয়ন অফ স্টেটস।'
পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করেছিল
এরপর বেণুগোপাল আরও বলেন, 'কাশ্মীরের মহারাজা পাকিস্তানের সঙ্গে একটি সংঘর্ষবিরতি চুক্তি করেছিলেন। তবে পাকিস্তান সেটি লঙ্ঘন করেছিল। যুদ্ধের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উপজাতিদের ট্রাকে বোঝাই করে পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরে পাঠিয়েছিল। রাজ্যে উপস্থিত বিদ্রোহীদের কারণে মহারাজা ভারতের সহায়তা চেয়েছিলেন। সেই সময় কাশ্মীর জুড়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলছিল। এমনকি পাকিস্তানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কাশ্মীরকে ধ্বংসস্তূপ পরিণত করার জন্য কাজ চালিয়ে যেতে শুরু করে।'
কাশ্মীরের সংবিধান ভারতের সংবিধানের দ্বারা তৈরি না
এদিকে সরকারের বিরুদ্ধে সওয়ালকারী দীনেশ দ্বিবেদী দাবি করেন, জম্মু ও কাশ্মীরের সংবিধানটি ভারতের সংবিধানের দ্বারা তৈরি হয়নি। তবে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের জেরে জম্মু ও কাশ্মীরের সংবিধানকে বাতিল করা হয়। সুতরাং জম্মু ও কাশ্মীরের সংবিধানকে বাতিল করতে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা করা যায় না।