জিএসটি ঘাটতি মেটাতে প্রথম দফায় ১৬টি রাজ্যেকে ৬ হাজার কোটি ঋণ দিল কেন্দ্র
জিএসটি ক্ষতিপূরণ খাতের ঘাটতি মেটাতে বিশেষ ঋণ নিল কেন্দ্র। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলির বকেয়া জিএসটি মেটানো সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। তবে এর জন্য রাজ্য়গুলি যে বিশাল অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়বে, তা মেটানোর জন্য দু'টি বিকল্পের কথা বাতলেছিলেন নির্মলা সীতারমন। সেই বিকল্পগুলির মধ্যে প্রথমটিকে বেছে নিয়েছে দেশের ২১টি বিজেপিশাসিত রাজ্য। তবে বিরোধিতায় নেমেছিল বাকি রাজ্যগুলি। এরপরই রাজ্যগুলির হয়ে ১.১ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নিতে প্রস্তুত হয় কেন্দ্র।

১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেবে কেন্দ্র
সেই ঋণ নেওয়ার প্রথম ধাপেই ১৬টি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিল কেন্দ্র। সেই টাকা নির্দিষ্ট খাতে জমা করা হয়েছে। জিএসটি কমপেনসেশনের ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্র বিশেষ উইন্ডোর মাধ্যমে রাজ্যগুলির জন্য ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণের বিশেষ উইন্ডো
২০২০-২১ সালের জিএসটি সংগ্রহের ঘাটতি মেটাতে কেন্দ্র একটি বিশেষ ঋণের উইন্ডো তৈরি করেছে। ২১ টি রাজ্য এবং ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জিএটি কমপেনসেশনের জন্য অর্থমন্ত্রকের ব্যাক-টু-ব্যাক ঋণের এই বিশেষ উইন্ডোর সুবিধা নেওয়ার পথ বেছে নিয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি রাজ্যের জিএসটি কমপেনসেশন খাতে কোনও ঘাটতি নেই।

ঋণের সুদের হার ৫.১৯ শতাংশ
কেন্দ্র যে ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে তা অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, বিহার, গোয়া, গুজরাত, হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মেঘালয়, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং দিল্লি এবং জম্মু ও কাশ্মীরের খাতায় জমা করা হয়েছে। যে ঋণ নেওয়া হয়েছে তাতে সুদের হার ৫.১৯ শতাংশ। এই ছয় হাজার কোটি টাকা সাপ্তাহিক হিসাবে রাজ্যগুলিকে জন্য দেওয়া হবে।

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য
এর আগে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছিন, একাধিক রাজ্যের পরামর্শের ভিত্তিতে, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে কেন্দ্রীয় সরকার প্রাথমিক ভাবে এই ঋণ নেবে এবং তারপরে রাজ্য সরকারগুলির খাতে ঋণ হিসাবে এই টাকা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অনুকূল সুদের হার নিশ্চিত করা ছাড়াও এর ফলে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সমন্বয় ও সরলীকরণ ঘটবে।
পুজোর মাঝেই সুখবর, করোনা টীকা আসছে শীঘ্রই! দিনক্ষণ জানিয়ে দিল ভারত বায়োটেক