খামোখা চিনের সঙ্গে শত্রুতা চায় না ভারত, দলাই লামার সঙ্গে দূরত্বের পরিকল্পনা নয়াদিল্লির
তিব্বতের নেতাদের সঙ্গে যত ধরনের অনুষ্ঠান রয়েছে তা থেকে সরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সরকারি আমলা, আধিকারিক ও নেতা-মন্ত্রীদের।
তিব্বতের সঙ্গে বেশি মাখামাখি করতে গিয়ে চিনের সঙ্গে খামোখা শত্রুতা চাইছে না নয়াদিল্লি। আর তাই আগামী এত দেড় মাসের মধ্যে তিব্বতের নেতাদের সঙ্গে যত ধরনের অনুষ্ঠান রয়েছে তা থেকে সরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সরকারি আমলা, আধিকারিক ও নেতা-মন্ত্রীদের।
মার্চের শেষ ও এপ্রিলের শুরুতে দলাই লামার তিব্বত থেকে ভারতে চলে আসার ষাট বছর পূর্তি হচ্ছে। সেই উপলক্ষ্যে ভারতে তিব্বতী নেতৃত্ব নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। সেখানেই বেশি না ঘেঁষার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে মন্ত্রকের সচিব পিকে সিনহাকে এই বিষয়ে নোট পাঠান। তারপরই সিনহা সমস্ত বরিষ্ঠ নেতা ও সরকারি আমলাদের জানিয়ে দেন, তিব্বতের নেতৃত্বের আমন্ত্রণে কোনও অনুষ্ঠানে যেন কেউ অংশ না নেন।
গোপন বিজ্ঞপ্তি জারি করে সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও সরকারি দফতর ও একইসঙ্গে রাজ্য সরকারগুলিকেও কোনও আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
দলাই লামার সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সুসম্পর্কের ইতিহাস রয়েছে। ষাটের দশকে তিনি তিব্বত ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আসেন। সেই সময় থেকেই মধুর সম্পর্ক। এমনকী তিব্বতকে সবসময়ই বড় দাদার মতো চিনের আগ্রাসন থেকে আগলে রেখেছে ভারত। তবে কিছুদিন আগে দলাই লামা চিনের প্রশংসা করে ভারতের থেকে এগিয়ে রাখেন। এদিকে চিনও দলাই লামার ভারতে আসা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছে না। এসব দেখেই নয়াদিল্লি নিজেদের স্টান্স বদল করল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।