দেশজুড়ে পিএমএওয়াইয়ের (নগর) আওতাধীন ১.৬৮ লক্ষের বেশি বাড়ি তৈরির অনুমোদন
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অন্তর্গত শহরাঞ্চলে ১.৬৮ লক্ষের বেশি বাড়ি নির্মাণ করার অনুমোদন দেওয়া হল সরকারের পক্ষ থেকে। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত অনুমোদিত বাড়ির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১.১ কোটি, বৃহস্পতিবার সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়। প্রসঙ্গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অন্তর্গত ৬.১ লক্ষ সুবিধাভোগীর জন্য ২,৬৯১ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রকাশ করেছেন।

প্রস্তাব দিতে পারে রাজ্য
কেন্দ্রীয় পূর্ত মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে কেন্দ্রীয় অনুমোদন ও তদারকি কমিটির (সিএসএমসি) বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যেখানে বুধবার ১৪ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছিলেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিএসএমসি দ্বারা অনুমোদিত প্রস্তাবিত বাড়িগুলি সুবিধাভোগীদের নেতৃত্বে নির্মাণ, অংশীদারিত্বের সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন এবং পিএমএওয়াইয়ের (নগর) আওতাধীন বস্তি পুনর্বাসন হবে। বাড়িগুলি ভার্টিকালভাবে নির্মাণ হবে হবে বলে জানা গিয়েছে। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এও বলা হয়েছে, ‘জমি, স্থল-সংক্রান্ত বিপদ, আন্তঃশহর স্থানান্তর এবং অন্যান্য বিষয়গুলি পর্যালোচনা করে রাজ্যগুলি তাদের প্রস্তাবও কেন্দ্রকে দিতে পারে।'

৪১ লক্ষ বাড়ি নির্মাণ হয়েছে
পিএমএওয়াই-ইউ-এর অন্তর্গত এখনও পর্যন্ত ৪১ লক্ষ বাড়ি নির্মাণ হয়ে গিয়েছে এবং ৭০ লক্ষ বাড়ি এখনও নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘পিএমএওয়াই (নগর)-এর আওতায় কেন্দ্রীয় অনুমোদন ও তদারকি কমিটি (সিএসএমসি) ১,৬৮,৬০৬ নতুন বাড়ির তৈরির অনুমোদন দিয়েছে।' ‘২০২২ সালে সকলের বাড়ি' এই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে ২০১৫ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পিএমএওয়াই (ইউ)-এর সূচনা করেন।

সাত বছরে ১.১২ কোটি বাড়ি
২০১৫ থেকে ২০২২ সাল এই সাত বছরের মধ্যে সরকারের লক্ষ্য দেশের শহরাঞ্চলে ১.১২ কোটি বাড়ি তৈরি করার। বিবৃতিতে মন্ত্রকের সচিব দুর্গা শঙ্কর মিশ্র বলেন, ‘মিশনের (পিএমএইওয়াই-ইউ) অধীনে অগ্রগতি স্থির রয়েছে। প্রাথমিকভাবে সমস্ত শারীরিক এবং সামাজিক অবকাঠামো সহ আমাদের বাড়ি সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যেতে হবে।' মিশ্র বলেন, ‘রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি সুবিধাভোগীদের হাতে বাড়ি তুলে দেওয়ার কাজ এবং বন্টনের দিকে মনোনিবেশ করছে।'

সিক্স লাইট হাউস প্রকল্প
সচিব বলেন, ‘সমস্ত রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ছয়টি শহরে সিক্স লাইট হাউস প্রকল্পের (এলএইচপি) উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ছয়টি শহর হল আগরতলা (ত্রিপুরা), রাঁচি (ঝাড়খণ্ড), লখনউ (উত্তরপ্রদেশ), ইন্দোর (মধ্যপ্রদেশ), রাজকোট (গুজরাত) এবং চেন্নাই (তামিলনাড়ু)। তিনি এও জানিয়েছেন যে বৃহত্তর আবাসনের জন্য এই প্রযুক্তিটি সারা দেশে প্রতিলিপি এবং সংক্ষিপ্ত করা যেতে পারে।
শুভেন্দুকে আইনি নোটিশ অভিষেকের! নির্দিষ্ট সময় দিয়ে চূড়ান্ত 'হুঁশিয়ারি'