চলতি অর্থবর্ষে ৬০ লক্ষ মেট্রিকটন পর্যন্ত চিনি রফতানি করা যাবে, নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের
চলতি অর্থবর্ষে ৬০ লক্ষ মেট্রিকটন পর্যন্ত চিনি রফতানি করা যাবে, নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের
রবিবার চিনি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৬০ লক্ষ মেট্রিকটন পর্যন্ত রফতানি করতে পারবে বলে জানা গিয়েছে। ভারত সরকারের তরফে জানানো হয়েছে দেশের অভ্যন্তরে চিনির দামের স্থিতিশীলতা বাড়াতে এবং চিনের কলগুলো আর্থিক অবস্থা পুনর্বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার একটা বিজ্ঞপ্তিতে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে এই খবর জানানো হয়েছে।
চিনি রফতানিতে ছাড় কেন্দ্রের
শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরের নাগরিকদের জন্য ২৭৫ লক্ষ মেট্রিকটন চিনি মজুদ করা রয়েছে। ইথানলের পর্যাপ্ত পরিমাণের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ৬০ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত চিনি বিদেশে রফতানি করা যাবে। আগে ৫০ লক্ষ মেট্রিকটন পর্যন্ত চিনি বিদেশে রফতানি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
চিনি রফতানিতে কম আয়
২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারত ১১০ লক্ষ মেট্রিক টন রফতানি করে ৪০,০০০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছিল। ১.১৮ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি আখ সংগ্রহ করা সত্ত্বেও চিনির উৎপাদন সেভাবে হয়নি। তাই দেশে চিনির চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে কেন্দ্র শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক চিনি রফতানিতে কিছু বিধি নিষেধ জারি করেছিল। জানানো হয়েছিল, ৫০ লক্ষ মেট্রিকটনের বেশি চিনি বিদেশে রফতানি করা যাবে না।
ইথালন উৎপাদনে জোর
অন্যদিকে, জ্বালানি আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে ইথালন উৎপাদনে কেন্দ্র সরকার জোর দিয়েছে। ইথানল উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত আখ/চিনি/গুড়ের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার আরেকটি প্রক্রিয়া হল চিনি রফতানি নীতি। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ইথানল উৎপাদনের ওপর নির্ভর করে চিনি উৎপাদন ৪৫-৫০ লক্ষ মেট্রিকটন বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২২-২৩ সালে চিনি উৎপাদনের সময় চিনিরকলগুলো থেকে উৎপাদন বা বিক্রয়ের জন্য কোনও ভর্তুকি নেওয়া হয়নি। চলতি বছরেও আর্থিক সাহায্য ছাড়া চিনি ভালো উৎপাদন হবে বলে কেন্দ্র সরকার মনে করছে।
ধান চাষের ওপর বিধি নিষেধ
চলতি বছরে মৌসুমী বায়ুর খাম খেয়ালির জেরে খারিফ শষ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব থেকে বেশি ধান চাষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে চালের চাহিদাকে মাথায় রেখে রফতানির ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিশ্বের পাশাপাশি ভারতের বাজারেও ভাঙা চালের চাহিদা মাথায় রেখে রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও সরু চালের ওপর অতিরিক্ত কর প্রয়োগ করা হয়েছে। গমের বিদেশে রফতানির ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সামনেই নেপাল ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান রয়েছে? বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকছে আন্তর্জাতিক বর্ডার