দেশে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগামী, স্বাধীনতা দিবসে বড় ধরনের জমায়েত এড়িয়ে চলার পরামর্শ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের
দেশে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগামী, স্বাধীনতা দিবসে বড় ধরনের জমায়েত এড়িয়ে চলার পরামর্শ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের
দেশে করোনা পরিস্থিতি বিশেষ ভালো হয়। ভারতে দৈনিক গড়ে ১৫,০০০ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। দিল্লি, মুম্বইয়ে এক ধাক্কায় করোনায় সংক্রমণের হার অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু রাজ্য করোনা সংক্রমণে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বড় ধরনের জমায়েত থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিল কেন্দ্র। এছাড়াও দেশবাসীকে করোনা বিধি মেনে চলার আবেদন করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দেশবাসীর কাছে আবেদন
দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, নিজের এলাকাকে পরিষ্কার রাখতে প্রতিটি জেলার একটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে স্বচ্ছ ভারত অভিযান চালানো হবে। এক মাসব্যাপী অভিযান চলবে। তবে তিনি এই বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের সময় যেন কোনও বড় ধরেনর জমায়েত না হয়। অভিযানের সময় যেন প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী করোনা বিধি মেনে চলেন।
মুম্বই ও দিল্লিতে করোনা পরিস্থিতির অবনতি
দেশে বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সব থেকে খারাপ অবস্থা দিল্লি ও মুম্বইয়ে। দিল্লিতে করোনায় মৃত্যুর হার একলাফে তিনগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। দিল্লিতে গত ১০ দিনে ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লির বসন্ত কুঞ্জের ফর্টিস হাসপাতালের চিকিৎসক রিচা সরেন বলেন, দিল্লিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। তবে বেশিরভাগ আক্রান্ত কোমর্বিটির কারণে মারা গিয়েছেন। ক্যান্সার, যক্ষার মতো একাধিক রোগে ভুগছিলেন আক্রান্তরা। তাঁদের শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। তারমধ্যেই তাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন করোনায়। চিকিৎসা চলাকালীন তাঁদের মৃত্যু হয়েছে।
মুম্বইয়ে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বুধবার শুধু মুম্বইয়ে ৮৫২ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জুলাই মাসের শেষের দিকে মুম্বইয়ে করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছিল। কিন্তু আগস্ট মাস থেকে ফের সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পায়। যার জেরে মুম্বইয়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বুধবার ৮৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হলেও মাত্র ৩৬ জনের শরীরে উপসর্গ দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
রাজ্যগুলোকে সতর্ক করলেন স্বাস্থ্য সচিব
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব দিল্লি ও মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি কর্ণাটক, কেরল, ওড়িশা, তামিলনাড়ু ও তেলেঙ্গানাকে সতর্ক করেছে। জানানো হয়েছে, সামনেই দেশে উৎসবের মরশুম আসছে। তার আগে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। না হলে রাজ্যগুলোর অবস্থা আরও খারাপ হবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব করোনা নিয়ন্ত্রমণে কোভিড টিকাকরণ, বুস্টার ডোজ ও করোনা বিধি মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছেন।
করোনা মহামারীর ভারতে যুব সমাজের মধ্যে বেকারত্বের হার আরও বাড়বে, আশঙ্কা রিপোর্টের