কৃষক আন্দোলন থামাতে নয়া চাল কেন্দ্রের! নির্ধারিত সময়ের আগেই শুরু এই কর্মসূচি
নির্ধারিত সময়ের দু'দিন আগেই শুরু হচ্ছে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য শস্য ক্রয় কর্মসূচি। কৃষক বিক্ষোভ সামাল দিতে নয়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের। প্রতিবছর অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে শীতকালীন শস্য ক্রয় শুরু হয়। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে শস্য বিক্রি করার সুযোগ পান কৃষকরা। সরকারি নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী দু'দিন আগেই এই কর্মসূচির সূচনা হচ্ছে।
কৃষি আইনের বিরোধিতায় আন্দোলন
সংসদে সদ্য পাস হওয়া নতুন কৃষি আইনের বিরোধিতায় আন্দোলন শুরু করেছে কংগ্রেসসহ অন্য বিরোধী দলগুলি। পথে নেমে বিক্ষোভ, অবরোধে সামিল হয়েছেন কৃষকরাও। এই পরিস্থিতিতে শস্য কেনা কর্মসূচি শুরু হলে কৃষকদের নজর আন্দোলন থেকে সহজেই সরে যাবে। যদিও বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, বিরোধী রাজনীতির কবলে পড়ে কৃষকরা দিকভ্রষ্ট। তাই সরকারের প্রতি কৃষকদের আস্থা ফেরাতেই এই কর্মসূচি।
পাঁচটি রাজ্যকে ১৩.৭৭ লক্ষ টন শস্য সংগ্রহের অনুমতি
এদিকে চলতি খরিফ মরশুমে পাঁচটি রাজ্যকে ১৩.৭৭ লক্ষ টন তৈলবীজ ও ডালশস্য সংগ্রহে অনুমতি দিল কেন্দ্র। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে একথা জানানো হয়েছে। পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে রয়েছে তামিলনাড়ু, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, তেলাঙ্গানা ও হরিয়ানা।
ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আওতায়
অন্যান্য রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি থেকে খরিফ ডাল ও তৈলবীজ সংগ্রহের প্রস্তাব পাওয়ার পর অনুমোদন দেওয়া হবে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের থেকে বাজারের দাম নেমে গেলে থেকে তা মূল্য সহায়ক প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকার বিভিন্ন নোডাল এজেন্সির মাধ্যমে ৩৪.২০ মেট্রিক টন মুগ ডাল সংগ্রহ করেছে।
খরিফ বিপণন মরশুম
বিবৃতিতে জানানো হয়, খরিফ বিপণন মরশুম ২০২০-২১ সবে শুরু হয়েছে। সরকার আগের বারের মতোই এবারও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রকল্প অনুযায়ী কৃষকদের থেকে ফসল কেনা প্রক্রিয়া জারি রেখেছে। রাজ্যগুলির প্রস্তাবকে মান্যতা দিয়ে তামিলনাড়ু, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, তেলাঙ্গানা এবং হরিয়ানাকে ১৩.৭৭ লক্ষ টন ডাল ও তৈলবীজ সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।