এবার আর নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার নয় কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড! বুস্টার ডোজের মধ্যে বড় সিদ্ধান্তের পথে মোদী সরকার
দেশে বুস্টার ডোড দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তারই মধ্যে দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত কোভ্যাক্সিন (covaxine) এবং কোভিশিল্ডকে (covishield) খোলা বাজারে (market) অর্থার ওষুধের দোকানে বিক্রির অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে
দেশে বুস্টার ডোড দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তারই মধ্যে দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত কোভ্যাক্সিন (covaxine) এবং কোভিশিল্ডকে (covishield) খোলা বাজারে (market) অর্থার ওষুধের দোকানে বিক্রির অনুমতি দেয়ার ব্যাপারে বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে মোদী সরকার। কেননা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি ইতিবাচক রিপোর্ট দিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
|
আরও তথ্য চাওয়া হয়েছে
১৪ জানুয়ারি সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি, কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের প্রস্তুত কারক সংস্থা হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেক এবং পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে আরও তথ্য চেয়েছে। যাতে এগুলিকে পুরোপুরি বাজারে বিক্রির অনুমতি দেওয়া যায়। পাশাপাশি সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন পুরে বিষয়টির অনুমোদনের জন্য ডিসিজিআই-এর কাছে পাঠিয়েছে।
নিরাপদ, কার্যকর হলেই বাজারে বিক্রির অনুমতি
সাধারণভাবে একটি ভ্যাকসিনকে নিরাপদ আর কার্যকর মনে করলেই, তার বাজারে বিক্রির অনুমতি মেলে। ভ্যাকসিনগুলির মোট ৩ টি ধাপের ট্রায়ালের পরে রিপোর্ট পর্যালোচনা করে এই ধরনের অনুমোদন দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত জরুরি ভিত্তিকে এই দুই ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। দেশে আবিষ্কার হওয়া বাকি ভ্যাকসিনগুলিকেও জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন রয়েছে। প্রথম দুটি ধাপের পরীক্ষার পরে এই ধরনের জরুরি অনুমোদন দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই সিরাম ইনস্টিটিউটের তরফে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ডিসিজিআই-এর কাছে জমা গিয়েছে।
গত বছরের জানুয়ারিতে জরুরি অনুমোদন
২০২১-এর জানুয়ারিতে দুটি ভ্যাকসিনকে সারা দেশে জরুরি ব্যবহারের প্রয়োজনে অনুমোদন দেওয়া হয়। সারা দেশে ২০২১-এর ১৬ জানুয়ারি করোনা বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়। এই মুহূর্তে দুটি ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে সারা দেশে তৃতীয় তথা বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে ১০ জানুয়ারি থেকে। যাটোর্ধ্ব এবং ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন দেশে তৈরি প্রথম ভ্যাকসিন। অন্যদিকে ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রাজেনিকা এবং অক্সফোর্ডের তৈরি করা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড নামে ভারতে তৈরি করছে সিরাম ইনস্টিটিউট।
দেশে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে প্রায় ১৫৯ কোটি
এখনও পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ১৫৯ কোটির বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেওয়া হয়েছে প্রায় ৭৩ লক্ষ ভ্যাকসিন ডোজ। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে দেশের বেশিরভাগ মানুষের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। অনেকে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া বাকি। সেই পরিস্থিতিতে দেশে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্য প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে।
কলকাতার করোনা পজিটিভিটি রেট এখনও ৫০%-এর কাছে! ১৬ জেলায় ২০%-এর ওপরে, একনজরে পরিসংখ্যান