কেন্দ্রের তোপের মুখে টুইটার, লেহ-কে চিনের অংশ হিসাবে দেখিয়ে ধমক হজম
ভারতের কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল লাদাখের লেহ-কে চিনের অংশ হিসাবে দেখাচ্ছে টুইটার লোকেশন সার্ভিস। এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয় রবিবার। ভারতের জাতীয় সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ নীতিন গোখলের একটি টুইটকে ঘিরে এই সামাজিক মাধ্যমের বিরুদ্ধ ক্ষুব্ধ হন অনেকেই। এবার এই বিষয়েই টুইটারের সিইও জ্যাক ডরসিকে কড়া ভাষায় চিঠি পাঠাল কেন্দ্র।
পুরো বিষয়টি বেআইনি
এই ববিষয়ে কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিব অজয় সওহানি জানান, যে টুইটারের এই কর্মকাণ্ডে ভারত ক্ষুব্ধ। এই পরিস্থিতির নিরিখে টুইটারকে কারণ দর্শাতে বলে নোটিশ ইস্যু করা ছাড়াও সিইও জ্যাক ডর্সিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এটি ভারতের সার্বভৌমত্ম খর্ব করা এবং টুইটারের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই পুরো বিষয়টি বেআইনি এবং গ্রহণ যোগ্য নয়।
ঘটনার সূত্রপাত
লাদাখের লেহ-কার্গিল রোডের ওপরে অবস্থিত 'হল অফ ফেম' সংগ্রহশালাটিকে চিনের অন্তর্গত দেখানো হয় কয়েকদিন আগে। নীতিন গোখলের লাইভ ভিডিওতে দেখানো এই লোকেশন ট্যাগ ঘিরে চরম ক্ষুব্ধ হয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই প্রেক্ষিতেই কড়া ভাষায় এবার টুইটার প্রধানকে চিটি পাঠানো হল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
সৈনিকদের স্মরণে তৈরি স্মৃতিকে অসম্মান
দেশের জন্য প্রাণত্যাগ করা বীর ভারতীয় সৈনিকদের স্মরণে তৈরি। এই সংগ্রহশালা লেহ-কার্গিল রোডের ওপরে, লেহ শহর থেকে মাত্র চার কিমি দূরত্বে অবস্থিত। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের শহীদদের অসংখ্য স্মৃতি এই সংগ্রহশালাটির সাথে জড়িয়ে রয়েছে। এহেন সংগ্রহশালাকে কীভাবে চিনের অন্তর্গত এলাকা হিসাবে দেখানো হয়, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন নীতিন ঘোখলে।
'যান্ত্রিক' ত্রুটি বলে দাবি
তীব্র নিন্দা ও বিতর্কের মুখে সামাজিক মাধ্যমটি প্রথমে মুখে কুলুপ এঁটে ছিল। পরে ভারতীয় নেটিজেনদের প্রতিবাদে তারা মুখ খুলতে বাধ্য হয়। টুইটারের জনৈক মুখপাত্র এই ত্রুটিকে 'যান্ত্রিক' বলে দাবি করেছেন। তবে তাতে কেন্দ্রের ক্ষোভ মেটেনি। অবশ্য টুইঠারের তরফে জানানো হয়, ভবিষ্যতে এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে তারা আরও সচেতন থাকবে।
লাদাখ ইস্যুতে ভারতের পাশেই আমেরিকা, বেজিংকে সাফ বার্তা পাঠাতে দিল্লি সফরে পম্পেও-এসপার