কোন ফর্মুলাতে কৃষকদের শান্ত করতে ছক সাজাচ্ছে কেন্দ্র? আন্দোলন প্রত্যাহার শীঘ্রই
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মাসখানেক ধরে চলছে কৃষকদের আন্দোলন৷ এর মধ্যে একাধিকবার কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসে কেন্দ্র৷ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বুধবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে ষষ্ঠ দফার বৈঠকে বসে দু'পক্ষ৷ আজ বৈঠকে যে চারটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে দুটি বিষয়ে দু'পক্ষ সহমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর৷ পরবর্তী বৈঠক ৪ জানুয়ারি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি৷
৪ জানুয়ারি দু' পক্ষ বৈঠকে বসবে ফের
জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের মাশুল কমানো এবং খড় পোড়ানোর জন্য জরিমানা না করার জন্য কৃষকদের দাবি মেনে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহার এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের গ্যারান্টি দিয়ে আইন প্রণয়নের বিষয়ে এখনও আগের অবস্থানেই অনড় থাকলেন আন্দোলনকারী কৃষক এবং কেন্দ্রীয় সরকার৷ তবে ইতিবাচক দিক হল, ফের ৪ জানুয়ারি দু' পক্ষ বৈঠকে বসতে চলেছে৷
দিল্লির হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় কৃষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন
দিল্লির হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় কৃষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন৷ বৈঠক শেষে এই নিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'দিল্লির ঠান্ডার কথা মাথায় রেখে আমি কৃষক নেতাদের অনুরোধ করেছি যাতে বয়স্ক, মহিলা ও শিশুদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷' পাশাপাশি শীঘ্রই কৃষকরা তাদের এই আন্দোলন বিক্ষোভ প্রত্যাহার করবেন বলেও আশা ব্যক্ত করেছেন নরেন্দ্র সিং তোমর।
ন্যূনতম সহায়কমূল্য নিয়ে আলোচনা শেষ হয়নি
তিনি বলেন, 'কৃষক ইউনিয়ন তিনটি আইন প্রত্যাহার করার কথা বলেছে৷ আমরা বলেছি যে জায়গাগুলিতে সমস্যা রয়েছে সেখানে সরকার পর্যালোচনা করার জন্য তৈরি৷' ন্যূনতম সহায়কমূল্য নিয়ে আলোচনা শেষ হয়নি বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ৷ এই বিষয়ে ৪ জানুয়ারি দুপুর ২টোয় হতে চলা বৈঠকে ফের আলোচনা হবে৷
বুধবারের বৈঠকে কিছুটা বরফ গলেছে
দীর্ঘদিন ধরে দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তে তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকরা৷ এর আগে আন্দোলনরত কৃষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পাঁচবার আলোচনায় বসে কেন্দ্রীয় সরকার৷ যদিও সেই বৈঠকগুলি থেকে সমস্যার সমাধান মেলেনি। তবে বুধবারের বৈঠকে কিছুটা বরফ গলেছে।
বিজেপিকে হারাতে 'অস্ত্র ভাণ্ডার' পেল তৃণমূল! নিজেদের কবর নিজেরাই খুঁড়ছেন দিলীপ ঘোষরা