কৃষি আইন স্থগিত হোক, চান না কৃষকরাই! আজ ফের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্র
এক থেকে দেড় বছরের জন্য কৃষি আইন স্থগিত রাখতে রাজি কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কৃষি আইন স্থগিত করার পক্ষে নয় কৃষক সংগঠনরা। এই আবহে আজ দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে কৃষি আইন নিয়ে একাদশ পর্যায়ের বৈঠকে বসবে কেন্দ্র এবং আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠন। দেখার বিষয়ে আজকেরই এই বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্রে কৃষক-কেন্দ্র পৌঁছাতে পারবে কি না।
কী জানান নরেন্দ্র সিং তোমর
এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জানিয়েছিলেন, কৃষক সংগঠন এবং কেন্দ্র সরকারের কয়েকজন প্রতিনিধিকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হোক। যে কমিটি কৃষি আইনের প্রতিটি ধারা নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করবে। সেই মতো কৃষকরা তাঁদের আপত্তির কথা কমিটির সরকার পক্ষের সদস্য়দের সামনে তুলে ধরবে। সরকার সেই মত সংশোধন আনবে নয়া কৃষি আইনে।
কেন্দ্রের প্রস্তাব মানতে নারাজ কৃষকরা
এছাড়া কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'আলোচনার সময় আমরা বলেছি এক অথবা দেড় বছরের জন্য কৃষি আইন স্থগিত করতে সরকার প্রস্তুত। আমি খুশি যে কৃষক সংগঠনগুলি এটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং আগামীকাল বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে বলে জানিয়েছে। আর ২২ তারিখ তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।' এই আবহে এদিনই কৃষকরা জানিয়ে দেন যে কেন্দ্রের প্রস্তাব তাঁরা মানবেন না।
কৃষি আইনের উপর ২ মাসের স্থগিতাদেশ জারি
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট কৃষি আইনের উপর ২ মাসের স্থগিতাদেশ জারি করেছে। তার মধ্য়ে আলোচনা করে কোনও সমাধান সূত্র বের করে তা আদালতে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট। এই পরিস্থিতিতে আজ সুপ্রিম কোর্ট ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে কোনও নির্দেশ বা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে রাজি হয়নি। কেন্দ্র সরকারের তরফে এই মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে আর্জি জানিয়ে মামলা করা হয়েছিল। তবে, এর পুরোটাই দিল্লি পুলিশের হাতে ছেড়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।