কম বৃ্ষ্টিপাতে ধান চাষে প্রভাব, খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে চাল রফতানিতে বিধি নিষেধ জারি
কম বৃ্ষ্টিপাতে ধান চাষে প্রভাব, খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে চাল রফতানিতে বিধি নিষেধ জারি
চলতি বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে দেশে ধানের উৎপাদন অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে চাল রফতানির ওপর একাধিক বিধিনিষেধ কেন্দ্রের তরফে জারি করা হয়েছে। বাণিজ্য ও খাদ্য মন্ত্রকের বৈঠকে সাদা ভাঙা চাল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য চালের সঙ্গে প্রিমিয়াম বাসমতি চালের রফতানি এক থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
বৃষ্টিপাতের অভাবে ব্যহত ধান চাষ
চলতি বর্ষায় উপযুক্ত বৃষ্টিপাত হয়নি। যার জেরে ব্যহত হয় ধান চাষ। বেশ কয়েকটি রাজ্যে কম বৃষ্টিপাতের জেরে ধানের উৎপাদন অনেকটাই কমে গিযেছে। কম বৃষ্টিপাতের জেরে অন্যান্য ফসল চাষেও প্রভাব পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকার শুধু সাদা ভাঙা চালের রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কেন্দ্রের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ভারতে এই চালের চাহিদা সব থেকে বেশি। তবে দেশে যে পরিমাণ উৎপাদন হয়েছে। তা দেশের অভ্যন্তরে চাহিদা মেটাতে সক্ষম। তবে এই চাল বর্তমানে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব নয়। ভারতের পাশাপাশি বিশ্বেও এই চালের চাহিদা অনেকটাই বেশি।
বিশ্বে প্রধান চাল রফতানিকারক দেশ ভারত
ভারত প্রধান চাল রফতানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিত। ২০২১-২২ সালে ভারত প্রায় ২২ মিলিয়ন চাল রফতানি করেছে। ভারতের মোট চাল উৎপাদনের এক ষষ্ঠাংশ রফতানি করা হয়েছিল। বিশ্বের চালের চাহিদার ৪০ শতাংশ ভারত রফতানি করে। চলতি বছরে বর্ষার জেরে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের কৃষিকাজ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কম বৃষ্টির কারণে। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, চলতি বছর গত বছরের তুলনায় ৭.৬ শতাংশ কম ধান উৎপাদন হয়েছে।
প্রভাব পড়বে নূন্যতম সমর্থন মূল্যে
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, উৎপাদন কমে যাওয়ার জন্য চালের নূন্যতম সমর্থন মূল্যের ওপর প্রভাব পড়বে। গ্রীষ্মের শুরুতে গমের উৎপাদন প্রায় ২.৫ শতাংশ কমে গিয়েছিল। যার জেরে গম রফতানির ওপর কেন্দ্র সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। চলতি বছরে বর্ষায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাষ ছিল। কিন্তু তারপরেও একাধিক রাজ্যে যেমন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি ছিল। তেমনি বেশ কয়েকটি রাজ্যে চলতি বর্ষায় বৃষ্টিপাতের ঘাটতি দেখা গিয়েছে। আবহাওয়া দফতেরর হিসাব অনুযায়ী ১ জুন থেকে ২৬ অগাস্টের মধ্যে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ৪৫, ৪১, ২৭ ও ২৬ শতাংশ বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে।
Weather Update: দক্ষিণে অস্বস্তি, উত্তরে হিমালয়ের কোলে বৃষ্টি! বাংলার জেলাগুলির আবহাওয়া একনজরে