বিদেশের মাটিতে তৈরি হবে 'দেশীয় টিকা', সঙ্কটকালে উৎপাদন বৃদ্ধিতে নয়া ভাবনা কেন্দ্রের
বিদেশের মাটিতে তৈরি হবে 'দেশীয় টিকা', সঙ্কটকালে উৎপাদন বৃদ্ধিতে নয়া ভাবনা কেন্দ্রের
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আটকাতে দেশে শুরু হবে তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ। পয়লা মে থেকে দেশের আঠারোর্ধ্ব নাগরিকদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার 'কোভিশিল্ড' ও ভারত বায়োটেকের 'কোভ্যাক্সিন' প্রাথমিক ভাবে ব্যবহৃত হবে টিকাকরণে। পরবর্তীতে দ্রুত দলে যোগ দেবে স্পুটনিক ভি। এমতাবস্থায় বারেবারেই টিকার যোগান নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। দেশব্যাপী টিকার সমবণ্টন বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নব সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত মিলল কেন্দ্রীয় সূত্রে।
দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি কোভ্যাক্সিনের
আইসিএমআর ও ভারত বায়োটেকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি দেশীয় টিকা 'কোভ্যাক্সিন'-র উৎপাদন বৃদ্ধি ও বিশ্বে ভারতীয় ভ্যাকসিনের চাহিদা বর্ধনের লক্ষ্যে এই টিকার উৎপাদন শুরু হবে বিদেশের মাটিতে, ইঙ্গিত কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের। এক আধিকারিকের কথায়, "কোভ্যাক্সিনের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে ও নতুন স্ট্রেন সম্পর্কিত গবেষণার জন্য ভ্যাকসিনের উৎপাদন বিদেশে করতে হবে। সেক্ষেত্রে ইচ্ছুক দেশের সঙ্গে আলোচনা করে ভারত বায়োটেক প্রয়োজনীয় আইনি সিদ্ধান্ত নেবে।"
৪,৫০০ কোটির সরকারি সাহায্য ভ্যাকসিন সংস্থাকে
কোভ্যাক্সিন ছাড়াও পরবর্তীতে অন্যান্য ভারতীয় টিকার ক্ষেত্রেও যে একইরকমের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তার ইঙ্গিত দিয়েছে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই সিরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বায়োটেককে মোট ৪,৫০০ কোটি টাকার আর্থিক অনুদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। গত ২০শে এপ্রিল ভারত বায়োটেকের তরফে জানান হয়েছে বছরে ৭০কোটি কোভ্যাক্সিন ডোজ উৎপাদনের কথা। সব মিলিয়ে টিকা প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বিশ্বে যে ভারত অগ্রণী ভূমিকা নেবে, তা বলাই বাহুল্য।
৬১৭ ভ্যারিয়েন্টকে প্রতিহত করতে সক্ষম কোভ্যাক্সিন!
প্ৰযুক্তিগত হস্তান্তরের ক্ষেত্রে আইসিএমআর ও ভারত বায়োটেকের মধ্যে কে নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে, সে বিষয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। পাশাপাশি দু'টি সংস্থার মধ্যে এহেন হস্তান্তর প্রক্রিয়ার মধ্যে সরকারি ভূমিকা কতদূর যথাযথ, সে বিষয়েও রয়েছে একাধিক প্রশ্ন। এসবের মধ্যেই খ্যাতনামা মার্কিন মহামারী বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফউসি দরাজ শংসাপত্র দিয়েছেন কোভ্যাক্সিনকে। প্রায় ৬১৭টি কোভিড ভ্যারিয়েন্টকে প্রতিহত করতে সক্ষম কোভ্যাক্সিন, মত ফউসির!
দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণে নতুন রেকর্ড, একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ছাড়াল
জৈব নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে ভারত বায়োটেক
দেশে তৃতীয় ধাপের জৈব নিরাপত্তার আধারে 'কোভ্যাক্সিন' প্রস্তুতির কাজ সেরেছে নির্মাতা সংস্থা। ভারত বায়োটেকের ২০শে এপ্রিলের বিবৃতি অনুযায়ী, "জৈব নিরাপত্তা সুরক্ষিত করা এবং একইসাথে জীবিত ভাইরাস কাজে লাগিয়ে টিকা তৈরি করা মারাত্মক খরচসাপেক্ষ।" স্বাভাবিকভাবেই বৈদেশিক বিনিয়োগের দিকে তাকিয়ে ভারত বায়োটেক। ইতিমধ্যেই মেক্সিকো, ফিলিপিন্স ও ইরানের মত বহু দেশে ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে কোভ্যাক্সিন। "উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে অন্যান্য দেশে সরবরাহের কাজও সুগম হবে", এমনই মত গবেষক গগনদ্বীপ ক্যাংয়ের।