ফের টিকা নীতিতে বদল, রাজ্য-কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বিশেষ অনুরোধ কেন্দ্রের
দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণ আগে শেষ করতে বিশেষ নির্দেশ কেন্দ্র সরকারের
প্রায় ৪ মাসের বেশি সময় ধরে গোটা দেশে টিকাকরণ চললেও এখনও পর্যন্ত গোটা দেশের ৩ শতাংশ মানুষও করোনা টিকার সম্পূর্ণ ডোজ পাননি, সম্প্রতি একথা নিজেই স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে ভারতে রোজই নতুন করে সংক্রমণের ধার বাড়িয়ে চলেছে মারণ করোনা। প্রত্যহ আক্রান্ত হচ্ছেন ৪ লক্ষের বেশি মানুষ। এমতাবস্থায় টিকাকরণ নীতিতে খানিক বদল আনার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে অনুরোধ করল কেন্দ্র। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে।
এদিকে ১ মে থেকে দেশের সমস্ত ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের দ্রুত টিকাকরণের নির্দেশ দেয কেন্দ্র। এদিকে বাস্তবিক চিত্রে দেখা যায় দ্বিতীয় দফায় ৩৫ উর্ধ নাগরিকদেক একটা বড় অংশ করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেলেও দ্বিতীয় ডোজ পাননি সিংহভাগ মানুষ। এমতাবস্থায় প্রথম ডোজ প্রাপকদেরই টিকাকরণে অগ্রাধিকারের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা, তামিলনাড়ু সহ একাধিক রাজ্য। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে তারপরেই ১৮ উর্ধদের টিকাকরণ শুরু হবে বলে জানানো হয়। এমতাবস্থায় এবার কার্যত সেই রাস্তাতেই হাঁটতে দেখা গেল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককেও।
ক্ষমতাই এসেই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রাখতে জোর, করোনাকালে একাধিক জনদরদী প্রকল্পের ঘোষণা স্ট্যালিনের
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অ্যাডিশন্যাল সেক্রেটারি আর্তি আহুজা সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “ কেন্দ্রের তরফে সমস্ত রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আগের পর্বের টিকাকরণ শেষ করার জন্য অনুরোধ করছি। যারা প্রথম ডোজ পেয়েছিলেন তাদেরকেই আগে দ্বিতীয় ডোজের করোনা টিকা দেওয়া হোক। ” এমনকী জটিলতা এড়াতে দ্বিতীয় পর্বের টিকাকরণের সঙ্গে তৃতীয় পর্বের প্রক্রিয়াকে ৭০:৩০ অনুপাতে ভাঙা হচ্ছে বলেও কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়। এদিকে এখনও পর্যন্ত দেশে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী ১১.৮১ লক্ষ মানুষকে করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে সমস্ত বয়স মিলিয়ে এখনও দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ করোনা টিকা পেয়েছেন