করোনা প্রতিরোধে শীঘ্রই আসরে নামছে ন্যাজাল ভ্যাকসিন? ফের আশার কথা শোনাল কেন্দ্র
বিশ্বজোড়া আতঙ্কের মাঝেই করোনা ঠেকাতে গত বছর থেকেই কোমড় বেঁধে মাঠে নেমে পড়ে একাধিক দেশ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় গবেষণা। অবশেষে নববর্ষেই শুরুতেই তার সুফল পেতে শুরু করেছে বিশ্ববাসী। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশে জরুরি ভিত্তিতে শুরু হয়েছে করোনা টিকাকরণ। এমতাবস্থায় এবার ন্যাজাল ভ্যাকসিন নিয়ে খুশির খবর শোনাল ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

আসরে নামতে চলেছে ন্যাজাল ভ্যাকসিন
ইতিমধ্যেই একটি নির্দিষ্ট ন্যাজাল ভ্যাকসিনকে করোনা প্রতিরোধের জন্য চিহ্নিতও করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর তাতেই নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকেরা। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মঙ্গলবার নীতি আয়োগের সদস্য ডাঃ ভি কে পাল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, " ইতিমধ্যেই আমরা একটি নির্দিষ্ট ন্যাজাল ভ্যাকসিনকে চিহ্নিতও করে ফেলেছি। প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ট্রায়ালের রিপোর্টের পরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"

ন্যাজাল ভ্যাকসিন নিয়ে কী অবস্থান নিচ্ছে ভারত বায়োটেক
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর করোনা আবহের মধ্যেই ন্যাজাল ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে বড়সড় পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় ভারত বায়োটেককে। সূত্রের খবর, মার্কিন ফার্মা ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের সঙ্গে এই বিষয়ে চুক্তিও সেরেছে ভারত বায়োটেক। ওই চুক্তি অনুযায়ী এই ন্যাজাল ভ্যাকসিনের ১০০ কোটি ডোজ তৈরির পরিকল্পনা করেছে এই টিকা নির্মাতা সংস্থা।

টিকা উদ্বেগ নিয়েও আশ্বস্ত করল কেন্দ্র
তবে বর্তমানে ভারত বায়োটেকের কর্তৃক ভারতে আসতে চালা ন্যাজাল ভ্যাকসিনের কথাই কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা বলছেন কিনা সেই বিষয়ে কোনো স্বচ্ছতা পাওয়া যায়নি। তবে এই ক্ষেত্রে ভারত বায়োটেকের পছন্দ করা ন্যাজাল ভ্যাকসিনের দিকেই যে কেন্দ্র হাঁটতে পারে সেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে টিকাকরণ পরবর্তী সময়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যু ও একাধিক রাজ্যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ঘটনাতেও এদিন মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা।

মঙ্গলবার পর্য সাড়ে চার লক্ষ মানুষের টিকাকরণ
কেন্দ্রের মতে, টিকাকরণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট নিরাপদ জায়গাতেই রয়েছে ভারত। একই সাথে গোটা দেশজুড়ে সিরামের কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন নিয়ে উদ্বেগের বাতাবরণ তৈরি হলেও দুই টিকাকেই নিরাপদ বলে তকমা দিয়েচেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় তথ্য অনুসারে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত গোটা দেশে ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ৫৯ জনকে করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে টিকাকরণের সময়ে মাত্র ০.১৮ শতাংশ মানুষের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে, এবং তাদের মধ্যে ০.০০২ শতাংশ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্র।

বাংলা করোনা মুক্তির দিকে এগোচ্ছে, দৈনিক সংক্রমণে নিয়ন্ত্রণ আশার আলো দেখাচ্ছে