কেন্দ্রের 'ভুলেই' কৃষক অসন্তোষ, নাড্ডা-শাহ হাইভোল্টেজ বৈঠকেও অধরা সমাধান সূত্র?
কৃষকরা বুরারিতে আন্দোলনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতেই গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। গতকাল জে পি নাড্ডার দিল্লির বাড়িতে বৈঠকটি হয়। রাত দু'টো পর্যন্ত চলে বৈঠক। বৈঠকে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। এরই মাঝে এদিন সকালে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ফের কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের ইতিবাচক উদ্দেশ্যকে তুলে ধরেন।

উত্তপ্ত দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত
কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় কৃষকদের ডাকা 'দিল্লি চলো' অভিযানে কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত। পরিস্থিতিতে ক্রমেই ঘোরালো হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ সীমান্তেই। বিশেষজ্ঞদের মত, কেন্দ্রের অক্ষমতার জেরেই এই পরিস্থিতিতি তৈরি হয়েছে। যদি কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের উদ্দেশ্য কৃষক বান্ধব হয়ে থাকবে, তাহলে তা প্রথমেই কেন তাদের বোঝাতে পারল না কেন্দ্র। এই অক্ষমতার জেরেই কৃষকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে এই অসন্তোষের।

কৃষকরা বুরারিতে কিছুতেই যাবেন না
এদিকে এই বিক্ষোভের মাঝে অমিত শাহ শর্ত দিয়েছিলেন, যদি তাঁরা সরকার নির্ধারিত স্থানে গিয়ে আন্দোলন করেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসবেন। এই প্রস্তাবের পরই আলোচনায় বসেছিল বিক্ষোভরত কৃষক সংগঠনগুলি। আলোচনা শেষে তারা জানিয়ে দেয়, কৃষকরা বুরারিতে কিছুতেই যাবেন না। কারণ এটা খোলা কয়েদখানা ছাড়া কিছুই নয়। অমিত শাহের শর্ত দেওয়াকে তারা কৃষকদের অপমান হিসাবে দেখেছে।

গতরাতে বৈঠকে বসে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব
এরপরেই গতরাতে বৈঠকে বসে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। মূলত , কৃষকদের এই আন্দোলনই বৈঠকের মূল বিষয় ছিল। পাশাপাশি , কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর মতবিরোধ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। আবার কৃষকদের এই আন্দোলনের মাঝে গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 'মন কি বাত'-এ বলেন , নতুন কৃষি আইন কৃষকদের সামনে সুযোগ-সুবিধার দরজা খুলে দিয়েছে। কৃষকদের সুবিধা অনেকটাই বেড়েছে।

কৃষকদের দাবি কী?
কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি৷ তাদের অভিযোগ , এই আইনে কৃষকরা তাঁদের ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন৷ তবে, কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, এই আইনের ফলে কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত ফসল সরাসরি কারও হস্তক্ষেপ ছাড়াই বেসরকারি সংস্থার কাছে বিক্রি করতে পারবেন৷ তবে কৃষকদের দাবি, সরকার এক্ষেত্রে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বেঁধে দিক৷ তা না হলে তাঁরা প্রকৃত দাম থেকে বঞ্চিত হবেন৷ আর সেই দাবিতেই জাতীয় সংবিধান দিবসে 'দিল্লি চলো' অভিযানের ডাক দেয় পঞ্জাবের কৃষক সংগঠনগুলি৷

রামরাজ্যে মিশন ২০২২, বারাণসী থেকেই উত্তরপ্রদেশের বিজয় রথ ছোটাবেন মোদী