জম্মু–কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বিশেষ অধিকার ফেরাতে চলেছে কেন্দ্র
গত বছর ৫ আগস্ট জম্মু–কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল বিশেষ মর্যাদা, অবলুপ্ত করা হয়েছিল ৩৭০ ধারা। শুধু তাই নয় জম্মু–কাশ্মীরকে বিভক্ত করা হয় দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। কিন্তু বিজেপি সরকারের এই ঘোষণার পর থেকেই ক্রমাগত তা নিয়ে বিরোধিতা শুরু করে বিরোধীরা। তাই বিরোধীদের চাপে পড়ে একরকমভাবে বাধ্য হয়েই উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য জমির অধিকার ও সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ফেরাচ্ছে কেন্দ্র সরকার।
এর পাশাপাশি হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের স্থানীয়দের জন্যও বিশেষ সুযোগ দেওয়া হবে বলে শুক্রবারই জানানো হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে জম্মু–কাশ্মীরের হাইকোর্ট ৩৩টি নন–গেজেটেড পদের জন্য গোটা দেশের থেকে আবেদন করা যেতে পারে বলে জানিয়েছিল। বিরোধিতার মুখে পড়ে সেই নোটিফিকেশন ফিরিয়ে নেয় হাইকোর্ট।
স্থানীয়দের জন্য বিশেষ সংরক্ষণের ঘোষণার পর তা খুব শীঘ্রই কার্যকর হবে। শীর্ষ সরকারি এক আধিকারিক এ বিষয়ে বলেন, 'কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি হবে কিনা বা কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল তা নিজেরাই করবে, এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ প্রসঙ্গত, ৩৫এ এবং ৩৭০ ধারা উঠিয়ে নেওয়ার পর জম্মু–কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দাদের ওপর থেকে সরকারি চাকরি ও সম্পত্তির ওপর বিশেষ অধিকারও তুলে নেওয়া হয়। সূত্রের খবর, যারা রাজ্যটিতে নির্দিষ্ট কয়েক বছর ধরে বসবাস করছেন, তাদেরকে বিশেষ বাসিন্দার মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব সরকার পর্যালোচনা করছে। এর পাশাপাশি এই বিধানটি স্থানীয় জনগণের অধিকারকে রক্ষা করবে যেভাবে তারা জম্মু–কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের আগে সুরক্ষিত ছিল। ৫ আগস্ট জম্মু–কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পরই সরকারি চাকরি এবং জমির অধিকারের ওপর বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ নিয়ে সেখানকার বাসিন্দারা উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেন।
আগের জম্মু–কাশ্মীরের ক্ষেত্রে সরকারি চাকরি এবং জমির অধিকার পাওয়ার জন্য রাজ্যের শংসাপত্র জরুরি ছিল। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আবাসিক নিয়ম রয়েছে। সূত্রের খবর, সরকার জম্মু ও কাশ্মীরে স্থিতাবস্থা অর্জনের কারণে বহিরাগতদের জন্য নুন্যতম আবাসিক নিয়ম চালু করার পরিকল্পনা করছে। হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের জন্যও একই নিয়ম বলবৎ হবে। এখানে উল্লেখ্য, পাহাড়ি অঞ্চলে বিশেষ আবাসিক শংসাপত্র পেতে হলে সেখানে ১৫ বছর থাকতে হবে এবং সরকারি চাকরি, জমি কেনা–বেচা এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হলে এই আবাসিক শংসাপত্র জরুরি।