ভারতে চালু হবে নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা, জেনে নিন ডিজিটাল মুদ্রা কী?
ভারতে চালু হবে নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা, জেনে নিন ডিজিটাল মুদ্রা কী?
এবার ভারতে চালু হবে নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা। যার নাম হবে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি। এ দিন কেন্দ্রীয় বাজেটে ডিজিটাল মুদ্রা চালুর ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সিবিডিসি চালু হবেএই অর্থবর্ষ থেকেই। দেশের নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা আনবে আরবিআই। ডিজিটাল মুদ্রা বা কারেন্সি সরকারের পরিকল্পনা মতো ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করেই চালু হবে ।
সিবিডিসি নগদ টাকার একটি ডিজিটাল আকার, যা দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক দ্বারা জারি করা আইনি টেন্ডার। এটি নগদ মুদ্রার মতই বিনিময় যোগ্য মুদ্রা। ডিজিটাল কারেন্সি এমন একটি অর্থ যা মূল মুদ্রার ডিজিটাল আকার। ব্যবহারকারীর কাছে একটি মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইন ওয়ালেট থাকলেই এই মুদ্রা লেনদেন করা যাবে। ডিজিটাল মুদ্রার মূল লক্ষ্য লেনদেন আরও সহজ পদ্ধতিতে করা। এর সাহায্যে প্রথাগত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।বিশেষজ্ঞদের মতে, সিবিডিসি-র সাহায্যে আর্থিক পরিষেবায় বড় দিক খুলে যেতে পারে। যেখানে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নেই অথবা ব্যাঙ্ক তৈরি করা হবে না, সেইসব এলাকার মানুষও ডিজিটাল মুদ্রা লেনদেনের সুবিধা পাবে।
বাজেটে ডিজিটাল কারেন্সির কথা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা মানে, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং অন্যান্য ভার্চুয়াল মুদ্রার বিষয়ে সরকারের অভিপ্রায়ের প্রকাশ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিভিন্ন সময়ে বিটকয়েন সহ একাধিক ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি মাধ্যমে আর্থিক তছরুপ, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অর্থের জোগান, কর ফাঁকির উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যদিও ডিজিটাল মুদ্রার প্রয়োজন রয়েছে বলে কেন্দ্র মনে করেছে। যার জেরে আরবিআই দেশের নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা আনছে।ডিজিটাল রুপি কীভাবে লেনদেন করা যেতে পারে সে সম্পর্কে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের বেশ কয়েকটি মডেলের প্রস্তাব রয়েছে। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে সম্ভবত দেশবাসীকে ডিজিটাল রুপি লেনদেনের বিষয়ে বিশদে বিবরণ দেবে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে গভীরভাবে ভাবছে কেন্দ্রীয়। এমনটাই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পেশ করা বাজেটে। কীভাবে একে বৈধতা দেওয়া হবে, তা নিয়েন এখনও স্পষ্ট করেনি কেন্দ্রীয় সরকার৷ তবে কেন্দ্র জানিয়েছিল যে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ডিজিটাল সম্পদ হিসেবে গণ্য করা হবে৷ এবার তার উপর কর চাপিয়েও দেওয়া হয়েছে।
বাজেট পেশ করতে গিয়ে নির্মলা সীতারমণ জানিয়ে দিয়েছেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয়ের উপরে ৩০ শতাংশ হারে কর ধার্য করা হবে৷ এই করের হারের নিরিখে যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে ঘটনা হল বেশি দিন নয় মাস খানেক আগেও অবশ্য ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করার পক্ষেই ছিল মোদি সরকার৷ সময় গিয়েছে সিদ্ধান্ত বদলেছে। সরকারের মনোভাব বদলায়৷ তার প্রভাব দেখা গেল বাজেটে।