এবার কি অ্যামাজন, নেটফ্লিক্সের ওটিটি প্লাটফর্মেও নজরদারি? সুপ্রিম কোর্টকে কি জানাল কেন্দ্র
এবার কি অ্যামাজন, নেটফ্লিক্সের ওটিটি প্লাটফর্মেও নজরদারি? সুপ্রিম কোর্টকে কি জানাল কেন্দ্র
এবার ওটিটি প্লাটফর্মের উপরে নজরদারি চায় কেন্দ্র। অ্যামাজন, নেটফ্লিক্সের ওটিটি কন্টেন্ট রাশ টানা সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টকে এমনই জানিয়েছে কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এসএ বব্দে, বিচারপতি এএস বোপান্না এবং বিচারপতি ভি রামাসুব্রহ্মণ্যমের বেঞ্চে ছিল আবেদনের শুনানি। সেই শুনানিতেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে ওটিটি ফ্লাটফর্মের উপর রাশ টানতে চায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। আবেদনকারী জানিয়েছিল ওটিটি ফ্লাটফর্মের নজরদারিতে একটি স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন করা হোক। ৬ সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে কেন্দ্রকে সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছে শীর্ষ আদালত।
নেটফ্লিক্স, অ্যামাজনেও নজরদারি
টুলকিট কাণ্ড ফাঁস হওয়ার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম নিয়ে একটু বেশি তৎপর হয়ে উঠেছে কেন্দ্রে। কৃষক আন্দোলন নিয়ে প্ররোচনা মূলক টুইট না আটকানোয় টুইয়ারকে নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রে।নোটিস পাঠানো হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপকে। এবার সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম নেটফ্লিক্স ও অ্যামাজনের কন্টেন্টেও নজরদারি পাকাপাকি ভাবে চালানোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মোদী সরকার।
সুপ্রিম কোর্টে মামলা
নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন সহ ওটিটি প্লাটফর্মে নজরদারি ও কন্টেন্টে রাশ টানতে একটি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এই নিয়ে আবেদন জানিয়েছেন এক মামলাকারী। প্রধান বিচারপতি এসএ ববদে, বিচারপতি এএস বোপান্না ও বিচারপতি ভি রামাসুব্রহ্মণ্যমের বেঞ্চ দ্রুত এই নিয়ে কেন্দ্রকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে। স্বতন্ত্র একটি বোর্ড গঠনের জন্যে ৬ মাসের মধ্যে শীর্ষ আদালত সিদ্ধান্ত জানাতে বলেছে কেন্দ্রকে
কী বলছে কেন্দ্র
নেটফ্লিক্স,অ্যামাজন, জি-৫,হটস্টার সহ একাধিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আগেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রকের নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করেনি। তাই এর কন্টেন্ট নিয়ে নানা দিকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ডিজিটাল মিডিয়ার উপর যেভাবে রাশ টানা হয়েছে। সেভাবেই ওটিটি প্লাটফর্মের কন্টেটের উপরেও রাশ টানার কথা বলছে কেন্দ্র। তার নজরদারিতে একটি পৃথক বোর্ড গঠনের ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে।
ডিজিটাল নজরদারি
মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সোশ্যাল মিিডয়ায় নজরদারি নিয়ে তৎপর হয়েছে। হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুক,টুইটার সহ একাধিক ক্ষেত্রে নানা অভিযোগ করা হয়েছে। ফেসবুকের বিরুদ্ধে বিজেপির কন্টেন্ট কোনওরকম নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই প্রচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। এই চরম বিতর্ক তৈরি হয়।