সিমির ওপরে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে হলফনামা! ধর্মনিরপেক্ষ সমাজে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা কেন্দ্রের
সিমির ওপরে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে হলফনামা! ধর্মনিরপেক্ষ সমাজে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা নিয়ে স্পষ্ট বার্তা কেন্দ্রের
কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়ার ওপরে লাগাতার অষ্টমবার নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দিল। কেন এই সংগঠনকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে, তা নিয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের এই হলফনামা।
ধর্মনিরপেক্ষ সমাজে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা
কেন্দ্রীয়
সরকারের
তরফে
সুপ্রিম
কোর্টে
বলা
হয়েছে,
ভারতে
ইসলামিক
শাসন
প্রতিষ্ঠার
উদ্দেশ্য
রয়েছে,
এমন
কোনও
সংগঠনের
অস্তিত্বে
অনুমতি
দেওয়া
যাবে
না।
কেন্দ্রের
তরফে
আরও
বলা
হয়েছে,
দেশের
ধর্মনিরপেক্ষ
সমাজে
এই
ধরনের
সংগঠনকে
চিরস্থায়ী
হতে
দেওয়া
উচিত
নয়।
কেন্দ্র
বলেছে,
সিমির
উল্লিখিত
উদ্দেশ্যহুলি
দেশের
আইনের
পরিপন্থী।
ভারতে
ইসলামী
শাসন
প্রতিষ্ঠা
তাদের
উদ্দেশ্য,
তাই
কোনও
অবস্থাতেই
এদের
টিকে
থাকার
অনুমতি
দেওয়া
যাবে
না।
বুধবার
বিচারপতি
সঞ্জয়
কাউলের
বেঞ্চে
বিষয়টি
নিয়ে
শুনানি
হয়।
যেখানে
ইউএপিএ
আইনের
অধীনে
সিমির
ওপরে
২০১৯
সালের
নিষেধাজ্ঞার
আদেশকে
চ্যালেঞ্জ
করে
সিমির
এক
প্রাক্তন
সদস্য
আবেদন
করেছিল।
কেন্দ্রের হলফনামায় অভিযোগ
সুপ্রিম
কোর্টে
কেন্দ্র
তাদের
দেওয়া
হলফনামায়
অভিযোগ
করেছে,
সিমির
উদ্দেশ্য
দেশের
আইনের
বিরোধিতা
করে
ছাত্র
ও
যুবকদের
সংগঠিত
করা
এবং
জেহাদের
পক্ষে
সমর্থন
আদায়
করা।
কেন্দ্রের
তরফে
আরও
বলা
হয়েছে,
বহু
বছর
ধরে
এই
সংগঠন
নিষিদ্ধ
হওয়া
সত্ত্বেও
বিভিন্ন
সংগঠনের
মাধ্যমে
বেআইনি
কর্মকাণ্ডে
লিপ্ত
থাকায়
নতুন
করে
সিমির
ওপরে
নিষেধা়জ্ঞা
জারি
করা
হয়েছে।
কেন্দ্রের
অভিযোগ,
২০০১
সালের
২৭
সেপ্টেম্বর
নিষিদ্ধ
হওয়ার
সময়
থেকে
সিমির
কর্মীরা
ষড়যন্ত্রে
লিপ্ত
রয়েছে।
বিস্ফোরক
সংগ্রহ
করছে।
দেশের
সার্বভৌমত্ব,
অখণ্ডতা
এবং
আঞ্চলিকতাকে
এরা
চ্যালেঞ্জের
মুখে
ফেরতে
সক্ষম
এরা।
কেন্দ্রের
তরফে
আরও
অভিযোগ
করে
বলা
হয়েছে,
সিমির
কর্মীরা
অন্য
দেশে
অবস্থিত
সিমির
সহযোগী
দের
সঙ্গে
যোগাযোগের
মাধ্যমে
দেশের
শান্তি
ও
সম্প্রদায়িক
সম্প্রীতি
ব্যাহত
করতে
সক্ষম।
নিষেধাজ্ঞার পরেও বেআইনি কার্যকলাপ
২০০১ সাল থেকে সিমি দেশব্যাপী বেআইনি কার্যকলাপ চালিয়ে গিয়েছে। তারা তিন ডজনের বেশি ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে তাদের বেআইনি কার্যকলাপ চালিয়ে গিয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। সেই কারণে ২০১৯-এ সর্বশেষ পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এইসব ফ্রন্টাল অর্গানাইজেশনগুলি সিমির জন্য তহবিল সংগ্রহ করা, পুস্তিকার মাধ্যমে প্রচার এবং ক্যাডারদের সংগঠিত করতে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে।
আপাতত মামলা স্থগিত
সিমিকে বেআইনি ঘোষণা করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদন খারিজের জন্য কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছিল। শুনানির সময় আবেদনকারীর আইনজীবী কেন্দ্রের হলফনামার জবাব দেওয়ার জন্য সময় চেয়েছেন। এদিন উভয়পক্ষের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি স্থগিত করে দিয়েছে।
দিল্লি বিধানসভায় তাড়া তাড়া নোট হাতে আম আদমি পার্টির বিধায়ক! কারণ চমকে দেবে