অন্নদাতাদের পাশে রাহুল! ট্রাক্টার মার্চে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মোদী সরকারকে তীব্র কটাক্ষ সোনিয়া পুত্রের
দিন যত গড়াচ্ছে দিল্লিতে ততই বাড়ছে কৃষক আন্দোলনের ঝাঁঝ। কৃষক সংগঠনগুলির তরফে রোজই নেওয়া হচ্ছে নিত্যনতুন কর্মসূচী। অন্যদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে দিল্লিতে বিশালাকার ট্রাক্টর মার্চের ডাক দিয়েছে প্রতিবাদী কৃষকেরা। যদিও তা বন্ধের দাবি ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টেও দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্র।যা নিয়ে এবার সুর চড়াতে দেখা গেল রাহুল গান্ধীকে।

পুড়ল কৃষি আইনের প্রতিলিপি
এদিকে ইতিমধ্যেই ২ মাসের কাছাকাছি সময় অতিক্রান্ত। কিন্তু এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় দিল্লির আন্দোলনরত কৃষকরা।এমতবস্থায় বুধবার সিঙ্ঘু সীমান্তে নয়া কৃষি আইনের কপি পুড়িয়ে লোহরি উৎসব পালন করলেন বিদ্রোহী কৃষকরা৷ পাশাপাশি ২৬ জানুয়ারির ট্রাক্টার মার্চের মধ্যে দিয়েও কেন্দ্রের উপর আরও বড়সড় চাপ তৈরি করতে চাইছে আন্দোলনরত কৃষকরা। তা বুঝতে পেরেই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করে সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা চাইছে কেন্দ্র।

ট্রাক্টার মার্চে নিষেধাজ্ঞা চাইছে কেন্দ্র
সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা হলপনামায় কেন্দ্রকে লিখতে দেখা গিয়েছে, " আমরা জানতি পেরেছি একাধিক অন্দোলনরত কৃষক সংগঠন ২৬ জানুয়ারি দিল্লির রাজপথে ট্রাক্টর মিছিলের পরিকল্পনা করেছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের মতো জাতীয় উদযাপনের আঙিনায় এই মিছিল দেশের জন্য বড়সড় বিড়ম্বনার সৃষ্ঠি করতে পারে।" এবার এই হলফনামার প্রতিলিপিকে হাতিার করেই সুর চড়াতে দেখা গেল রাহুলকে।

তীব্র কটাক্ষ রাহুলের
কেন্দ্রের তুলোধনা করে রাহুলের দাবি, " দিল্লির কনকনে ঠাণ্ডায়, খোলা আকাশের নীচে আন্দোলনরত অবস্থাতেই যখন ৬০ জনেরও বেশি অন্নদাতার(কৃষক) মৃত্যু হয় তথন তা দেশের জন্য সরকারের জন্য বিড়ম্বনার সৃষ্টি করে না, অথচ প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর ব়্যালি বেরোলে তাতে নাকি দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হবে। " বুধবারই এই প্রসঙ্গে টুইটারে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাহুলকে। এর আগেই অন্দোলনরত কৃষক মৃত্যু নিয়ে একাধিকবার কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হতে দেখা গিয়েছে সোনিয়া পুত্রকে।

কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ কেন্দ্রের
অন্যদিকে একাধিক কৃষক সংগঠনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন যত এগিয়েছে ততই বেড়েছে প্রতিবাদী কৃষকের মৃত্যুর সংখ্যা। যদিও তারপরেও টনক নড়েনি সরকারের। উল্টে বৈঠকের পর বৈঠক ডাকা হলেও সেখানে কৃষকদের দাবি দাওয়াকে ন্যূনতম প্রাধান্য দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এমতবস্থায় মঙ্গলবারই তিনটি কৃষি আইনে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতাদেশ দিতে দেখা গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টকে।

বিজেপির সামনে ৬০ দিনের ডেডলাইন! ১০০ আসন টার্গেটে রেখে অসমে কোন স্ট্র্যাটেজিতে পদ্ম শিবির