১০ শতাংশের বেশি করোনা সক্রিয় জেলায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা, রাজ্যগুলিকে নির্দেশ কেন্দ্রের
করোনার সংক্রমণ ও সক্রিয়তার হার ঊর্ধ্বমুখী হলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে হবে। কেন্দ্রের তরফে ১০টি রাজ্যকে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে।
করোনার সংক্রমণ ও সক্রিয়তার হার ঊর্ধ্বমুখী হলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে হবে। কেন্দ্রের তরফে ১০টি রাজ্যকে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে। যদি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কোভিড-১৯ সক্রিয়তার হার ১০ শতাংশের বেশি হয়, তবে সেইসব জেলায় কঠোর নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে মানুষের যাতায়াত ও জনসমাগম রোধের পরামর্শ দিয়েছে।
করোনা রিপোর্ট অনযায়ী, দেশের ৪৬টি জেলায় ১০ শতাংশের বেশি সক্রিয়ের হার রয়েছে। ৫৩টি জেলায় ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে সক্রিযের হার। কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে করোনা শনাক্তকরণের জন্য টেস্টিং বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও অবস্থাতেই ওই সমস্ত জেলায় শিথিলতা মেনে নেওয়া হবে না। এই জেলাগুলির অবস্থার অবনতি ঘটাতে হবে।
কেরালা, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, অসম, মিজোরাম, মেঘালয়, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং মণিপুরে করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ সভাপতিত্ব করেন এই বৈঠকের। রাজ্যগুলির স্বাস্থ্য দফতরকে নজরদারি, নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনার জন্য গৃহীত জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাগুলিও পর্যালোচনা করার কথাও বলা হয়। এই রাজ্যগুলি হয় দৈনিক করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি বা সক্রিয়তার হার বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, "গত কয়েক সপ্তাহে ১০ শতাংশের বেশি সক্রিয়তার হার রিপোর্ট করা হয়েছে। সমস্ত জেলাগুলিতে মানুষের যাতায়াতে এবং জনসমাগমে কঠোর নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার নির্দেশ আরোপ করা হয়েছে। এই রাজ্যগুলিতে ৮০ শতাংশের বেশি সক্রিয় রোগী হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। ফলে কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করার প্রয়োজন রয়েছে, যাতে তাঁরা অন্যদের সঙ্গে দেখা না করতে পারে এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে।
যারা হোম আইসোলেশনে আছে তাদের কঠোর পর্যবেক্ষণ রাখতে হব। যাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন, তাঁদের চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করতে হবে। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে যে, "হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের কার্যকরী ক্লিনিকাল ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক রাজ্যগুলিকে ওই জেলাগুলিতে মনোনিবেশ করতে বলেছে। যেখানে সক্রিয়ের হার ১০ শতাংশেরও কম, সেইসব জেলায় জনগমের সুরক্ষার জন্য ভ্যাকশিনেশন বাড়াতে হবে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "রাজ্যগুলিতে ন্যূনতম ভ্যাকসিনেশনের সম্ভাব্য বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। এর থেকে বেশি পরিমাণ ভ্যাকসিন পেতে সাধারণত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক রাজ্যের পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে সরবরাহ করবে। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে পিএসএ প্লান্ট স্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয় সম্প্রতি।