কৃষি বিল নিয়ে বিতর্কের মাঝেই অসম্পূর্ণ কৃষক আত্মহত্যার রিপোর্ট! সংসদে কী বলল কেন্দ্র?
অনেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলই এখনও পর্যন্ত কৃষক আত্মহত্যা সংক্রান্ত তথ্য এনসিআরবি-কে দেয়নি। ফলে কৃষিক্ষেত্রে আত্মহত্যার কারণ সংক্রান্ত রিপোর্ট অসম্পূর্ণ রয়েছে এবং তা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। আজ রাজ্যসভায় এই কথা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি।
সংসদে যা বললেন মন্ত্রী
মন্ত্রী এদিন বলেন, 'জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড বিওরোর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, একাধিকবার বলার পরেও অনেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল অন্যান্য ক্ষেত্রে আত্মহত্যার পরিসংখ্যান দিলেও এখনও পর্যন্ত কৃষক ও খেতমজুর আত্মহত্যার তথ্য দেয়নি। ফলে এই তথ্যগুলি ফাঁকা থেকে যাচ্ছে।'
সামগ্রিক রিপোর্ট প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি কেন?
রাজ্যসভায় পেশ করা এই সংক্রান্ত প্রশ্নের লিখিত জবাবে রেড্ডি আরও বলেন, 'এই সীমাবদ্ধতার কারণে, কৃষিক্ষেত্রে আত্মহত্যার কারণ সংক্রান্ত সামগ্রিক রিপোর্ট প্রকাশ করার মতো অবস্থা ছিল না এবং যেগুলি ছিল সেগুলি আলাদাভাবে প্রকাশ করা হয়নি।'
২০১৯ সালে ১০ হাজার ২৮১ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন
এনসিআরবি প্রকাশিত সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ১০ হাজার ২৮১ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন দেশে। পরিসংখ্যানের নিরিখে এই সংখ্যাটি ২০১৮ সালের তুলনায় কিছুটা কমেছে। ২০১৮ সালে সংখ্যাটি ছিল ১০ হাজার ৩৫৭। সর্বশেষ রিপোর্ট বলছে, গোটা দেশে যত আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ৭.৪ শতাংশই কৃষিক্ষেত্রে। এর মধ্যে রয়েছেন ৫৯৫৭ জন কৃষক ও ৪৩২৪ জন খেতমজুর।
বাংলায় কোনও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেনি
প্রসঙ্গত, এনসিআরবি-র কাছে পাঠানো রাজ্যগুলির তথ্য অনুযায়ী, বাংলা, বিহার, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড, মণিপুর, চণ্ডীগড়, দমন ও দিউ, দিল্লি, লাক্ষাদ্বীপ এবং পুদুচেরিতেও কৃষি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের আত্মহত্যার সংখ্যা শূন্য। দেশের যেসব রাজ্যে কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা সবথেকে বেশি তাদের মধ্যে মহারাষ্ট্র (৩৮.২ শতাংশ) সবার আগে রয়েছে। এরপরে রয়েছে কর্নাটক (১৯.৪ শতাংশ), অন্ধ্রপ্রদেশ (১০ শতাংশ), মধ্যপ্রদেশ (৫.৩ শতাংশ), ছত্তিশগড় (৪.৯ শতাংশ) ও তেলাঙ্গানা (৪.৯ শতাংশ)।
মুর্শিদাবাদ-কেরলে বসেই দিল্লি-কাশ্মীরে হামলার ছক কষছিল জঙ্গিরা! তদন্ত জারি এনআইএ-র