বিদেশি ভ্যাকসিন নয়, শিশুদের করোনা টিকায় কোভ্যাক্সিনেই গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র
বিদেশি ভ্যাকসিন নয়, শিশুদের করোনা টিকায় কোভ্যাক্সিনেই গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র
ফাইজার বা অন্য কোনও বিদেশি ভ্যাকসিন নয়, শিশুদের সুরক্ষিত করতে দেশি কোভ্যাক্সিনের উপরেই ভরসা করছে কেন্দ্র। তার একমাত্র কারণ কোভ্যাক্সিন সহজ লভ্যতা। যেহেতু কোভ্যাক্সিন দেশেই তৈরি হচ্ছে দেশিয় প্রযুক্তিতে তাতে যেকোনও মুহূর্তে তার উৎপাদন করতে পারে ভারত। কিন্তু বিদেশি ভ্যাকসিন বাইরে থেকে আমদানি করা হয়। তাই সেটা সমসময় সহজ লভ্য নাও থাকতে পারে। যদিও ইউরোভ ফাইজারকেই অনুমোদন দিয়ে গণটিকাকরণ করিয়েছে। কিন্তু ভারত তাতে ভরসা পাচ্ছে না।
আসছে থার্ড ওয়েভ
করোনার থার্ড ওয়েভ আসন্ন প্রায়। প্রহর গুণছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। দেশে যখন করোনার দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে ঠিক তখনই থার্ড ওয়েভের আশঙ্কা উঁকি িদচ্ছে ভারতে। এই থার্ড ওয়েভে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে শিশুদের। তাই এখন শিশুদের সুরক্ষার দিকে বেশি নজর দিচ্ছে কেন্দ্র।
শিশুদের টিকাকরণে জোর
প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকা করণ শুরু হয়ে গেলেও শিশুদের টিকা করণ এখনও শুরু হয়নি। বিশেষ করে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সীের করোনা টিকাকরণ হয়নি। ইতিমধ্যেই শিশুদের সুরক্ষার কথা ভেবে ফাইজার ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিেয়ছে কেন্দ্র। ইউরোপে ইতিমধ্যেই ফাইজারের টিকাকরণ হয়েছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের। ভারত ফাইজার আমদানি শুরু হয়েছে।
কোভ্যাক্সিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল
শিশুদের জন্য কোভ্যাক্সিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। দিল্লির এইমস সহ একাধিক হাসপাতালে শুরু হয়েছে কোভ্যাক্সিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ক্লিনিকাল ট্রায়। প্রথমে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের ক্লিিনকাল ট্রায়াল হবে। তারপরে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের ক্লিনিকাল ট্রায়াল হবে বলে এইমসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কোভ্যাক্সিনেই ভরসা
িশশু-কিশোরদের টিকাকরণে জন্য কোভ্যাক্সিনের উপরেই ভরসা করছে কেন্দ্রে। কারণ শিশুদের ভ্যাকসিনের সহজ লভ্যতা চাইছে কেন্দ্র। ফাইজারের মতো বিদেশি ভ্যাকসিন যেহেতু আমদানি করতে হচ্ছে বিদেশ থেকে সেহেতু শিশুদের টিকাকরণে ক্ষেত্রে বাইরের কোনও দেশের উপর নির্ভর করতে চাইছে না কেন্দ্র। সেকারণে দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি কোভ্যাক্সিনের উপরেই বেশি জোর দিচ্ছে কেন্দ্র।