লকডাউন ৫.০ : করোনা প্রকোপ বাড়তেই বিশেষ বৈঠক মন্ত্রীদের! কী সিদ্ধান্তে পৌঁছল কেন্দ্র?
দেশজুড়ে লকডাউনের চতুর্থ দফা চলছে। ৩১ মে পর্যন্ত এই লকডাউন চলার কথা। তারপর কী হবে? প্রশ্ন উঠেছে। এবং সূত্রের খবর আরও দুই সপ্তাহর জন্য বাড়তে চলেছে করোনা প্রকোপ রোধকারী এই লকডাউন। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনেক আলোচনাও চলছে বলে জানা গিয়েছে।
লকডাউন নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বিশেষ বৈঠক
সোমবারদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বাড়িতে বৈঠক করতে দেখা যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রেলমন্ত্রী পূযূষ গোয়েল, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী সহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন একাধিক হাইপ্রোফাইল ক্যাবিনেট সদস্যদের। সূত্রের খবর লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো নিয়েই এদিন আলোচনা হয়।
২৫ মার্চ থেকে চলছে লকডাউন
মার্চের শেষে দেশব্যাপী লকডাউনের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই থেকে বন্ধ রয়েছে বিমান চলাচল। বন্ধ ছিল রেল পিরিষেবাও। অবশেষে বিমান পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। ধাপে ধাপে চালু হতে চলেছে রেল পরিষএবাও।
চালু হয়েছে বিমান পরিষেবা
নিঃসন্দেহে বিমান ক্ষেত্রে স্বস্তির বাতাবরণ তৈরি করবে। দীর্ঘদিন পরিষেবা বন্ধ থাকায় চূড়ান্ত বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে এই ক্ষেত্রকে। রবিবার বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর সোমবার থেকে দেশীয় বিমান পরিষেবা চালুর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। এদিকে রেল পরিষএবা চালু হতে চলেছে ১ জুন থেকে। ইতিমধ্যেই অনলাইনে ও সীমিত কিছু কাউন্টারে বুকিংও চলছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের
তবে এরই মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় সারা দেশে নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৬৫৩৫ জনের। মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের। সব মিলিয়ে ২৬ মে মঙ্গলবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত বুলেটিন থেকে দেখা যাচ্ছে সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ১৪৫৩৮০-তে। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪১৬৭ জনের।
যে হারে দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ
দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৮০৭২২। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লিতে দ্রুত গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত দুদিনে সারা দেশে আক্রান্তের ১১ শতাংশ এই তিন রাজ্যের। মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুতে যেখানে আক্রান্ত দ্বিগুণ হয়েছে ১২ দিনে সেখানে দিল্লিতে আক্রান্ত দ্বিগুণ হয়েছে ১৪ দিনে।
১৫ দিনে সারা দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ হাজার
আক্রান্তের সংখ্যার হিসেব কষলে দেখা যাচ্ছে ১৫ দিনে সারা দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ হাজার। কিন্তু এর আগে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ হাজারে পৌঁছতে সময় লেগেছিল ১০০ দিন। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন পুরোপুরি ওঠানোর প্রশ্নই নেই বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আর কেন্দ্রও সেই পথেই এগোবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে করোনা! বিশ্বকে কোভিড ১৯-এর দ্বিতীয় হানার বিষয়ে সতর্কবার্তা WHO-এর