মন্দা কাটাতে চলতি বছরেই কী আসছে দ্বিতীয় দফার আর্থিক প্যাকেজ? কী ইঙ্গিত দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় অর্থসচিব
আনলক পর্বের পর থেকে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশীয় অর্থনীতি। ইতিমধ্যেই শুধুমাত্র অক্টোবর মাসেই জিএসটি সংগ্রেহের পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছে ১ লক্ষ কোটির গণ্ডি। যদিও এখনও মন্দার ছাপ বর্তমান বিভিন্ন শিল্প ক্ষেত্রে। এমতাবস্থায় দাঁড়িয়ে ফের একটি বড়সড় আর্থিক প্যাকেজের বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছে সরকার।

চলতি বছরেই কী আসছে দ্বিতীয় দফার আর্থিক প্যাকেজ ?
রবিবার এই বিশদ তথ্য জানান কেন্দ্রীয় অর্থসচিব অজয় ভূষণ পাণ্ডে। এদিকে ইঙ্গিতটা মিলছিল বেশ কিছুদিন আগে থেকেই। অর্থ মন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রীও বিভিন্ন সংকেত দিয়েছিল বিগত কয়েক মাসেই। এদিকে ২০ লক্ষ কোটি আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার পর কেটে গেছে বেশ কিছু মাস। এদিকে ওই প্যাকেজকে হাতিয়ার করে যে পরিমাণ অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি আশা করা গিয়েছিল তার প্রতিচ্ছবি বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যায়নি বলেই মত অর্থনীতিবিদদের। এমতাবস্থায় কেন্দ্রের নয়া পরিকল্পানা ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কতটা সহায়ক হয় এখন সেটাই দেখার।

ঠিক কী বললেন কেন্দ্রীয় অর্থসচিব ?
তবে নতুন প্যাকেজ কবে ঘোষণা করা হবে বা সঠিক দিনক্ষণ নিয়ে সেই অর্থ কোনও মুখ খুলতে দেখা যায়নি অজয় ভূষণকে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, " সমাজের কোন শ্রেণির মানুষ এখনও চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তা আমরা খতিয়ে দেখছি। এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন শিল্প সংস্থা, বাণিজ্যিক সংস্থা ও একাধিক মন্ত্রকেরও সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। সমস্ত পর্যবেক্ষণ ও ও পরামর্শ খতিয়ে দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। "

১০ শতাংশের বেশি জিডিপি সঙ্কোচনের পূর্বাভাস
এদিকে কেন্দ্রীয় রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে প্রায় ২৪ শতাংশ পর্যন্ত সঙ্কুচিত হয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। যদিও পরবর্তীতে ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হলেও বিশ্ব ব্যাঙ্কের হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবর্ষের শেষে ভারতীয় অর্থনীতির মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ১০ শতাংশের আশেপাশে। এই সমস্ত পূর্বাভাস মাথায় রেখেই দেশীয় অর্থনীতির হাল ফেরাতে কেন্দ্র যে বড়সড় পদক্ষেপ নিতই তা বলাই বাহুল্য।

মার্চের মধ্যেই জিরো গ্রোথ জোনে পৌঁছে যাবে ভারত ?
এদিকে সপ্তাহ দুয়েক আগেও অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর মেলে ২০ লক্ষ কোটির পর দ্বিতীয় দফার আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে পর্যালোচনা করছে কেন্দ্র। তবে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়েও খানিকটা হলেও জিডিপি প্রবৃদ্ধির মুখ দেখতে পাচ্ছে ভারত। আর্থিক বৃদ্ধির এই হার আরও পাঁচ মাস ধরে রাখতে পারলেই ভারত নেগেটিভ জোন থেকে আগামী বছর মার্চের মধ্যেই প্রায় জিরো গ্রোথ জোনে পৌঁছে যাবে বলেও মনে করছেন অর্থসচিব অজয় ভূষণ পাণ্ডে। সেই ক্ষেত্রে এই দ্বিতীয় দফার আর্থিক প্যাকেজ কতটা সহায়ক হয় এখন সেটাই দেখার।

ত্রিশূল নিয়ে খতম করব তৃণমূলকে, বিজয়া সম্মেলনী থেকে হুঙ্কার বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের