কোভিড-১৯: রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল খরচের নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
কোভিড-১৯: রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল খরচের নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
করোনা ভাইরাসকে আগেই বিপর্যয় বলে ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। তারপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়ে বলা হয়েছে কীভাবে বিপর্য মোকাবিলা বিভাগের তহবিল থেকে অর্থ খরচ করতে পারবে রাজ্য গুলি। এবং কী নিয়ম মেনে এগুলি করতে হবে।
২৫ শতাংশের বেশি অর্থ খরচ নয়
রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে বিপর্যয় মোবাকিলা বিভাগের তহবিল থেকে করোনা মোকাবিলায় অর্থ খরচ করলেও ২৫ শতাংশের বেশি খরচ করা যাবে না। কোথায় কোথায় কোয়ারেন্টাই ক্যাম্প হবে সেটা ঠিক করবে স্টেট এগজিকিউটিভ কমিটি। কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্পে যাঁরা থাকবেন তাঁদের জন্য খাবার, ওষুধ, জামাকাপড়ের বন্দোবস্ত করা হবে এই অর্থে। ন্যাশনাল হেলথ মিশনের পক্ষ থেকেই ওষুধ দেওয়া হবে। করোনা সংক্রমণের পরীক্ষার জন্য স্যাম্পেল কালেকশনের খরচ দেওয়া হবে এই তহবিল থেকে।
শুধু মাত্র রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলার তহবিলের অর্থ খরচ
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিল থেকে কোনও অর্থ খরচ করা যাবে না। রাজ্যে বিপর্যয় মোকািবলা তহবিল থেকেই অর্থ খরচ করতে হবে। করোনা পরীক্ষার জন্য সামগ্রি কিনতে ১০ শতাংশের বেশি খরচ করা যাবে না। বরাদ্দ অর্থের মধ্যেই বাড়তি ল্যাবরেটরি তৈরি করতে হবে। এর মধ্যেই পুলিসকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, দমকল এবং পুরকর্মীদের সুরক্ষার সামগ্রি কিনতে হবে। এছাড়াও সরকারি হাসপাতালের জন্য থার্মাল স্ক্যানার, ভেন্টিলেটর, এয়ার পিউরিফায়ার কিনতে হবে বরাদ্দ অর্থের মধ্যেই।
২০০ কোটি টাকা তহবিল ঘোষণা মমতার
আগেই রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় ২০০ কোটি টাকা আর্থিক তহবিল ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যেই স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা করানোর কথা ঘোষণা করেছেন। এছাড়াও তাঁদের জন্য মাস্ক এবং প্রয়োজনীয় করোনা প্রতিরোধক সামগ্রি কেনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।