সুপ্রিম তোপেই কাজ! এনডিএ-র প্রবেশিকায় বসতে পারবেন মহিলারাও, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
সেনা অ্যাকাডেমির প্রবেশিকাতে (National Defense Academy) মহিলাদের বসার সুযোগ নিয়ে কয়েকদিন আগেই সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিল কেন্দ্র সরকার(Central Government)। এমনকী এনডিএ-র(NDA) পরীক্ষায় মহিলাদের কীভাবে সুযোগ দেওয়া যায় সেই বিষয়ে ভাবনা চিন্তাও করতে বলা হয়। আর তাতেই হল কাজ। বুধবার এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের কথা সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে মহিলারাও এনডিএ-তে ভর্তি হতে পারবে।
৩ সেনা প্রধানের সঙ্গে আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত
সূত্রের খবর, ৩ সেনা প্রধানের সঙ্গে আলোচনার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে কেন্দ্র স্পষ্ঠ ভাষাতেই জানিয়েছে জাতীয় প্রতিরক্ষা একাডেমির (এনডিএ) মাধ্যমে মহিলাদের সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গিয়েছে। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি) ঐশ্বর্য ভাটি বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌলের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চকে এই তথ্য দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এই বেঞ্চেই মহিলাদের এনডিএ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতির বিষয়ে শুনানি চলছে।
কী বললেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল
এদিন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি বেঞ্চকে জানান, 'একটা ভালো খবর আছে। সেনাবাহিনী এবং সরকারের সর্বোচ্চ স্তরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে নারীরা এনডিএর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে পারবে। ভাটি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সহজ কথায় ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির মাধ্যমে ভারতীয় সেনার (জল, স্থল ও আকাশ) তিন বিভাগেই মহিলা অফিসার নিয়োগ করা হবে।
লিঙ্গ সমতার দিকে জোর
এদিকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত শোনার পরেও বিশেষ সন্তুষ্ট হতে দেখা যায়নি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের। লিঙ্গত সমতা নিয়েও ফের প্রশ্ন তোলা হয়। এদিকে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের মন্তব্য শোনার পরেই বেঞ্চ এএসজিকে হলফনামার মাধ্যমে বিবৃতি রেকর্ড করতে বলে। পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চের তরফে আরও বলা হয়, "ভারতী সশস্ত্র সেনা এই দেশের একটি সম্মানিত বাহিনী। কিন্তু তাদের লিঙ্গ সমতার দিকে আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে।" এদিকে দুই সপ্তাহ পর এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে বলে জানা যাচ্ছে।
লঙ্ঘিত হচ্ছিল মৌলিক অধিকার
এর আগে, সুপ্রিম কোর্ট একটি অস্থায়ী ভিত্তিতে এনডিএ পরীক্ষায় মহিলাদের উপস্থিতির অনুমতি দিয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিল। কুশ কালরার দায়ের করা এই আবেদনে এনডিএ-তে যোগ্য ও ইচ্ছুক মহিলা প্রার্থীদের অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়টি প্রথম উত্থাপিত হয়। আবেদনে বলা হয়, শুধুমাত্র লিঙ্গের ভিত্তিতে মহিলাদের এনডিএ-তে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবিধান অনুসারে এই লিঙ্গ সমতার পরিপন্থীই তো বটেই পাশাপাশি মহিলাদের মৌলিক অধিকারও এর ফলে লঙ্ঘিত হচ্ছে।