নটি রাজ্যকে নাগরিকত্ব দেওয়ার অধিকার কেন্দ্রের! আশ্চর্যজনকভাবে তালিকা থেকে বাদ পশ্চিমবঙ্গ
গুজরাতের মেহসানা এহং আনন্দ জেলার জেলাশাসকরাই শুধু নন, এখন থেকে দেশের নটি রাজ্যের ৩১ টি জেলার জেলাশাসক এবং সেইসব রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবদের নাগরিকত্ব দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনেই আপাতত বাংলাদেশ,
গুজরাতের মেহসানা এহং আনন্দ জেলার জেলাশাসকরাই শুধু নন, এখন থেকে দেশের নটি রাজ্যের ৩১ টি জেলার জেলাশাসক এবং সেইসব রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবদের নাগরিকত্ব দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনেই আপাতত বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সেই নটি রাজ্যের তালিকা থেকে বাদ তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গ এবং বিজেপি শাসিত অসম।
২০১৯ নয় ১৯৫৫ সালের আইনে নাগরিকত্ব
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১-এর ১ এপ্রিল থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা সেখানকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মোট ১৪১৪ জনকে নথিভুক্তির মাধ্যমে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। এব্যাপারে উল্লেখযোগ্য যে এই নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে, ২০১৯-এর বিতর্কিত আইনে নয়। এর মধ্যে ১১২০ জনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে ধারা ৫-এর অধীনে আর ২৯৪কে নাগরিকত্ব গেওয়া হয়েছে ধারা ৬-এর অধীনে। ২০১৯-এর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা সেখানকার সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়া কথা বলা হয়েছে। যদিও এই আইনের কোনও বিধি এখনও তৈরি না হওয়ায়, এই আইনে কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া যায়নি।
নটি রাজ্যের ৩১ টি জেলায় নাগরিকত্ব প্রদান
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১-২২ সালে কেন্দ্রের তরফে আরও দুটি রাজ্যের ১৩ টি অতিরিক্ত জেলার জেলাশাসককে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে অধিকার দিয়েছে। যার জেরে সারা দেশের নটি রাজ্যের ২৯ টি জেলার জেলাশাসক এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে ওই আইনে নাগরিকত্ব দেওয়ার অধিকার দিয়েছে। গতমাসে এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে গুজরাতের মেহসানা এহং আনন্দ জেলার নাম।
যেসব রাজ্য এই তালিকায়
১৯৫৫
সালের
নাগরিকত্ব
আইনে
বাংলাদেশ,
পাকিস্তান
এবং
বাংলাদেশ
থেকে
আসা
হিন্দু,
শিখ,
বৌদ্ধ,
জৈন,
পার্সি
এবং
খ্রিস্টানদের
নাগরিকত্ব
দেওয়ার
ব্যাপারে
যে
নটি
রাজ্য
কেন্দ্রের
তালিকাভুক্ত
সেগুলি
হল
গুজরাত,
রাজস্থান,
ছত্তিশগড়,
হরিয়ানা,
পঞ্জাব,
মধ্যপ্রদেশ,
উত্তর
প্রদেশ,
দিল্লি
ও
মহারাষ্ট্র।
তবে
উল্লেখযোগ্যভাবে
এই
তালিকায়
তৃণমূল
শাসিত
পশ্চিমবঙ্গ
আর
বিজেপি
শাসিত
অসমের
কোনও
জেলার
নাম
নেই।
যদিও
এই
দুই
রাজ্যে
নাগরিকত্ব
ইস্যুটি
রাজনৈতিকভাবে
যথেষ্টই
স্পর্শকাতর।
সিএএ-র ধারা তৈরি করতে আপাতত ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়
সিএএ-এর অধীনে ধারা তৈরি করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে এখনও পর্যন্ত সপ্তমবার সময় বাড়ানো হয়েছে। এব্যাপারে বর্ধিত সময় ২০২৩-এর ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০২০-র জানুয়ারিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল ওই বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে আইনটি কার্যকরী হবে। যদিও কোভিড মহামারীর কারণে তা মাসের পর মাস পিছিয়ে যায়।
হিমাচল নির্বাচন ২০২২: অ্যাম্বুলেন্সের জন্য কনভয় থামিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, ভিডিও ভাইরাল