সংক্রমণ ঠেকাতে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮ টি জেলায় ঘরে ঘরে সমীক্ষার উপর জোর কেন্দ্রের
প্রায় দুমাসের লকডাউনের পর ধীরে ধীরে পুরোনো ছন্দে ফিরছে দেশ। কিন্তু অন্যদিকে, লকডাউন শথিল হতেই দেশে করোনা ভাইরাস যেন আরও জেঁকে বসছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই আড়াই লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে এবং গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দশ হাজার মানুষ। এই পরিস্থিতিতেই নির্দিষ্ট কয়েকটি জেলায় ঘরে ঘরে সমীক্ষার উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
সর্বাধিক আক্রান্ত ১০টি রাজ্যের প্রায় ৩৮টি জেলায় চলবে সমীক্ষা
করোনায় আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বের মধ্যে এখন ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে, দেশের সর্বাধিক আক্রান্ত ১০ টি রাজ্যের ৩৮ টি জেলায় ঘরে ঘরে সমীক্ষার উপর জোর দেওয়ার পরামর্শ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং পরিবার ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা রাজ্য ও জেলা ভিত্তিক সংগঠিত একটি বৈঠকে লকডাউন পরবর্তী পরিকল্পনা সম্পর্কে জেলাগুলিকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন।
কী ছিল বৈঠকের বিষয় ?
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব প্রীতি সুন্দনের ডাকে এই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, হরিয়ানা, গুজরাট, জম্মু ও কাশ্মীর, কর্ণাটক, উত্তরাখণ্ড এবং মধ্যপ্রদেশের মত রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা। ঘরে ঘরে করোনা সমীক্ষার গুরুত্ব, পরীক্ষা বাড়ানো,বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিভাগে চিকিৎসা পরিচালনা ও প্রয়োগের কৌশলের উপরেই মূলত এদিনের বৈঠকে বিশেষ জোর দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে ।
কনটেনমেন্ট জোন গুলিতে ভাইরাসের সংক্রান্ত বিধিনিষেধ নিয়ে যথাযথ প্রচারের পরামর্শ
সূত্রের খবর, বর্তমানে কনটেনমেন্ট জোন গুলিতে ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে জেলা গুলিকে একাধিক বিধিনিষেধ সম্পর্কে যথাযথ প্রচার চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা। এছাড়াও করোনা ঠেকাতে জেলা প্রশাসন গুলিকে সাধারণ মানুষের জন্য নিয়মিত সহজলভ্য ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
করোনা ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ
মৃত্যু হার কমাতে, প্রবল ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল গুলিতে প্রবীণ ব্যক্তি ও সামান্য অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসায় অগ্রাধিকার দিতে হবে, বর্তমানে এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে। এছাড়াও, চালু করা হয়েছে হেল্প লাইন নম্বর, হাসপাতালে ২৪×৭ নজরদারির জন্য তৈরী হয়েছে বিশেষ দল। পাশাপাশি হাসপাতাল গুলিতে বাড়ানো হয়েছে আসন সংখ্যাও।