অ্যামাজনকে ২০০ কোটি টাকা জরিমানা সিসিআই-এর, অভিযোগ তথ্য গোপনের
ফিউচার গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি ইস্যুতে শেষ অবধি আমেরিকার ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনকে ২০০ কোটি টাকার বেশি জরিমানা করল ভারতের কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া। ২০১৯ সালে ফিউচার গ্রুপ এবং অ্যামাজনের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল তাতে একাধিক ভুল ছিল, তথ্য গোপনও করা হয়েছে। যার ভিত্তিতেই এই জরিমানা করা হয়েছে বলে এদিন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ২০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ভারতে ব্যবসা করতে হলে ফেমা আইনের অনেকগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হয়। সেই বিষয়গুলি চুক্তিতে লঙ্ঘন করার পরেই এই নিয়ে শোরগোল পড়ে। বলা হয়, ফিউচার গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করতে গিয়ে বেনিয়ম করেছে অ্যামাজন গ্রুপ।
কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে বলা হয়েছে, ফিউচার কুপনস প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে অ্যামাজনের দু'বছর আগে যে চুক্তি হয়েছিল তা আপাতত স্থগিত থাকবে। এমনকী ইচ্ছাকৃতভাবে মার্কিন সংস্থা অ্যামাজন তথ্য গোপন করে এই চুক্তি করেছে বলেও জানানো হয়েছে। মূলত কম্পিটিশন কমিশনের ছাড়পত্র যাতে সহজে মেলে সেই সুবিধা নিতেই এই তথ্য গোপন করা হয়েছে।
অ্যামাজনের তরফ এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। আপাতত তারা কম্পিটিশন কমিশনের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে তারপর তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানাবে বলে জানিয়েছে।
অ্যামাজন এবং রিলায়েন্সের মধ্যে চলা একটি মামলার প্রেক্ষিতে আদালতে সর্বপ্রথম এই বিষয়টি নজরে আসে। তারপরই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে তদন্ত শুরু করা হয়। মূলত অভিযোগ ছিল বিদেশি মুদ্রা রেগুলেশন আইন বা ফেমা এবং প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আইন বা এফবিআই লঙ্ঘন করা হয়েছে এই চুক্তি বলবতের সময়।
আপাতত ৫৭ পাতার নির্দেশ নিয়ে অ্যামাজন কিছু বলতে রাজি নয়। সব দিক খতিয়ে দেখেই তারা কোমর বেঁধে পাল্টা পদক্ষেপ করবে। তবে কয়েকদিন আগে অ্যামাজনের তরফে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল, ফিউচার গ্রুপের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তাদের, তা যদি সরিয়ে নিতে বাধ্য করা হয় তাহলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে এখন দেখার কম্পিটিশন কমিশন যে নির্দেশ দিয়েছে তার পরে ভবিষ্যতে এই ঘটনা কোন দিকে মোড় নেয়।
