মহিলাদের শরীরের আদর্শ মাপ '৩৬-২৪-৩৬', সিবিএসই পাঠ্য বই নিয়ে বিতর্ক!
সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন অথবা সিবিএসই বইয়ের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে মহিলাদের শরীরের আদর্শ মাপ বলতে বোঝানো হয়েছে '৩৬-২৪-৩৬'। যদিও সিবিএসই বোর্ডের তরফে এই ঘটনা কথা স্বীকার করা হয়নি।
নয়াদিল্লি, ১৩ এপ্রিল : সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন অথবা সিবিএসই বইয়ের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে মহিলাদের শরীরের আদর্শ মাপ বলতে বোঝানো হয়েছে '৩৬-২৪-৩৬'। আর এই ঘটনাটি সামনে আসায় হইচই পড়ে গিয়েছে।
যদিও সিবিএসই বোর্ডের তরফে এই ধরনের কোনও ঘটনার কথা স্বীকার করা হয়নি। এমন খবর সর্বৈব মিথ্যা বলেও দাবি করা হয়েছে। বোর্ডের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্টে যে বইয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার নাম 'হেলথ অ্যান্ড ফিজিক্যাল এডুকেশন'। যার লেখক ভিকে শর্মা ও তা প্রকাশিত হয়েছে সরস্বতী হাউস থেকে।
সিবিএসই জানিয়েছে, বেসরকারি প্রকাশকের কাছ থেকে কোনও বইয়ের অনুমোদন বোর্ড দেয় না। এনসিইআরটি ও সিবিএসই-এর কারিকুলামই অনুসরণ করা হয়। সেই অনুযায়ী বই নির্বাচনের সময়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। বইয়ের কোনও লেখা কাউকে আঘাত করলে বা বিভ্রান্তি তৈরি করলে অথবা অশ্লীল হলে তা বাতিল করা হয়। ফলে কোনও ধরনের ভুল হওয়ার প্রশ্নই নেই।
তা সত্ত্বেও বইয়ে কীভাবে এই ধরনের প্রসঙ্গ এল তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। কারণ পাঠ্য বইয়ে এটাও লেখা রয়েছে যে মিস ওয়ার্ল্ড অথবা মিস ইউনিভার্স সুন্দরী প্রতিযোগিতার সময়ও ৩৬-২৪-৩৬ মাপকেই বিচারের সময়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়। আর এই নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক উসকে উঠেছে।