দীপক কেশবলাল না কেশবলাল দীপক, নীরবের নাম নিয়ে বিভ্রান্ত দুই তদন্তকারী সংস্থা
সিবিআই এবং ইডি-র আরসিএন আবেদন পত্রের প্রাথমিক খসড়ায় নীরব মোদীর আলাদা আলাদা নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।
এ মাসের শুরুতে নীরব মোদীর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করার জন্য ইন্টারপোলের কাছে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই ও ইডি। কিন্তু জানা গিয়েছে, দুই তদন্তকারী সংস্থার আবেদনে নীরব মোদীর দুটি আলাদা নাম ছিল, যা আবেদন পাঠানোর আগে একেবারে শেষ মুহূর্তে ধরা পড়ে। নাহলে ভারতের তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে লজ্জার মুখে তো পড়তে হতই, পাশাপাশি ভারতের আবেদন খারিজ হওয়ারও সম্ভাবনা ছিল। হাত ফসকে বেরিয়ে যেতে পারতেন মোদী।
এক সূত্রের খবর, সিবিআই-এর আবেদন পত্রে নীরবের নাম ছিল নীরব দীপক কেশবলাল মোদী, আর ইডির লিখেছিল নীরব কেশবলাল দীপক মোদী। দুই আলাদা নামের আবেদন পত্র ইন্টারপোলের কাছে পাঠালে, নামদুটি একই ব্যক্তি কিনা - ইত্যাদি প্রশ্নে আরও কিছু সময় নষ্ট হত, এমনকী ইন্টারপোল আবেদন খারিজও করে দিতে পারত। শেষ মুহূর্তে ধরা পড়ায় তা সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন করা হয়।
আসলে মুশকিলটা হয়েছে নীরব মোদীর একাধিক পাসপোর্ট থাকায়। সূত্রটি জানিয়েছে নূরবের মোট ৬টি পাসপোর্ট আছে।আগের পাসপোর্টগুলিতে পাতা ফুরিয়ে যাওয়ার পর পরের গুলি ইস্যু করা হয়েছে। সে ব্যাপারে কোনও সমস্যা নেই।কিন্তু মুশকিল হচ্ছে এর মধ্যে চারটির ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা নাম ব্যবহার করেছেন মোদী। ইডি ও সিবিআই যে আলাদা নাম ব্যবহার করেছে, সে দুটিও দুটি আলাদা পাসপোর্ট থেকে নেওয়া। এছাড়া একটি পাসপোর্টে তার নাম লেখা আছে নীরব মোদী, আরেকটিতে আছে শুধুই নীরব।
এতেই গন্ডগোলটা হয়েছিল। কিন্তু শেষ অবধি তাহলে কোন নাম ব্যবহার হল? প্রক্রিয়াটির সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক জানিয়েছেন নীরব মোদী ব্যবহার করা শেষ পাসপোর্টে যে নাম ব্যবহার করেছেন সেটিই লেখা হয়েছে আবেদন পত্রে। জানা গিয়েছে সম্প্রতি নীরব মোদী ও মেহুল চোক্সিকে দেশে ফেরানর বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে এই দুই তদন্তকারী সংস্থার কর্তাদের এক বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ইন্টারপোল রেড কর্নার নোটিশ জারি করলে তারপর নীরব ও মেহুলকে দেশে ফেরানর আবেদন করা হবে।