রেলের সঙ্গে কী চুক্তি হয়েছিল সারদার, কারা জড়িত, তদন্তে সিবিআই
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময় ২০১০ সালে রেল বাজেটে ঘোষণা করেন 'ভারততীর্থ' প্রকল্প। পিপিপি মডেলে প্রকল্পটি চালানোর কথা বলা হয়। এর আওতায় দেশের বিভিন্ন তীর্থস্থান ঘুরিয়ে দেখানো হবে বলে ঠিক করা হয়। সারদা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এবং আইআরসিটিসি (ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন) চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল। তদনুসারে, হোটেল বুকিং, বাসে করে সংশ্লিষ্ট তীর্থস্থানগুলিতে ঘোরানো, খাওয়াদাওয়া ইত্যাদি দেখভালের দায়িত্ব নেয় সারদা গোষ্ঠী। ঠিক হয়, এ বাবদ যে টাকা আয় হবে, তার একটা অংশ রেল দেবে সারদাকে। আইআরসিটিসি কয়েক মাস পর নিজে থেকেই চুক্তিটি বাতিল করে দেয়।
আরও পড়ুন: সারদা-কাণ্ডে জড়াল ব্যারেটোর নাম, জেরা করবে ইডি
তদন্তে নেমে এ বার চুক্তির ব্যাপারে জানতে পেরে নড়েচড়ে বসেছে সিবিআই। নিয়ম মেনে চুক্তি হয়েছিল কি না, টেন্ডার ডেকে সারদা গোষ্ঠীকে এই বরাত দেওয়া হয়েছিল কি না, ইত্যাদি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা ব্যাপারটা জানতেন নাকি তাঁকে অন্ধকারে রেখে রেলের কিছু অফিসার চুক্তি করেছিলেন, তা জানাই সিবিআইয়ের লক্ষ্য।
রেল মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী মনোজ সিনহা জানিয়েছেন, সিবিআই নিজেদের মতো করে তদন্ত করছে। তাই সারদার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে রেল আলাদাভাবে বিভাগীয় তদন্ত করবে না। তদন্তে যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয়, তা হলে তাকে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। অনিয়মের বিষয়টি রেলমন্ত্রী সদানন্দ গৌড়াকে জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।