ব্যাপম কেলেঙ্কারিতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে অভিযুক্ত ৩১
ব্যাপম কেলেঙ্কারিতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে অভিযুক্ত ৩১
২০০৯
সালে
মধ্যপ্রদেশে
সরকারি
চাকরির
নিয়োগ
পরীক্ষায়
ব্যাপক
দুর্নীতির
অভিযোগ
উঠেছিল।
নাম
জড়ায়
মধ্যপ্রদেশের
রাজ্য
সরকারের
ব্যবস্থাপক
সংস্থা
'ব্যবসায়িক
পরীক্ষা
মণ্ডল’
বা
ব্যাপমের।
পরবর্তী
সময়ে
এই
ঘটনা
প্রকাশ্যে
আসার
পর
রহস্যজনক
ভাবে
প্রাণ
হারান
অন্তত
পঁচিশ
জন।
কেউ
কেউ
দাবি
করেন,
এই
সংখ্যাটা
চল্লিশেরও
বেশি।
এই
নিয়ে
তদন্ত
চলছিল
বহুদিন
ধরেই।
গত
বছরেই
বেশ
কয়েক
জন
হেভিওয়েট
মন্ত্রী
ও
আমলা
সহ
মোট
১১০জনের
বিরুদ্ধে
চার্জশিটও
দাখিল
করে।
এবার বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশের এই কুখ্যাত ব্যাপম কেলেঙ্কারি মামলায় ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। এই দিন সিবিআইয়ের বিচারক এসবি সাহু, এই মামলায় ১২ জন প্ররোচক এবং ৭জন মধ্যস্থতাকারী সহ মোট ৩১ জনকে অভিযুক্ত করেছেন। আগামী ২৫ শে নভেম্বর অভিযুক্তদের শাস্তি নির্ধারণ ও ঘোষণা করা হবে বলে জানান সিবিআইএর কর্মকর্তা সতীশ দিনকার। তিনি আরও জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬১, এবং ৪৭১ নম্বর ধারায় অভিযুক্ত দের বিরুদ্ধে প্রায় ৯১জনের সাক্ষী ও আনুষঙ্গিক প্রমাণ দাখিল করেছে সিবিআই।
এই কেলেঙ্কারিতে প্রায় ১২ জনের নাম পাওয়া গেছে যারা ছদ্মবেশে অন্য পরীক্ষার্থীদের হয়ে পরীক্ষা দিয়েছিল। তাদের মধ্যে ভোপাল ও দাতিয়া থেকে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। সরকারি নিয়ামক সংস্থার দ্বারা পরীক্ষা পরিচালনা এবং রাজ্যের মেডিকেল পরীক্ষায় এই দুর্নীতিতে সরাসরি মধ্যপ্রদেশ সরকারের একাধিক নেতা মন্ত্রীর যোগসাজশ থাকায় সেই সময় তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। একাধিক বিতর্ক দানা বাঁধার পর দীর্ঘ তদন্ত প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে এই বিষয়ে দোষীদের সামনে আনতে দেখা গেল সিবিআইকে।